ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় গাড়ি ভাংচুর ও যাত্রীকে পেটাল কনস্টেবল

প্রকাশিত: ০৪:৫৫, ১৩ জানুয়ারি ২০১৮

মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় গাড়ি ভাংচুর ও যাত্রীকে পেটাল কনস্টেবল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর শ্যামলীতে নিজের মোটরসাইকেলের সঙ্গে হালকা ধাক্কা লাগায় একটি প্রাইভেটকার ভাংচুর ও এর যাত্রীদের মারধর করেছেন পুলিশের চ্যান্সেরি বিভাগের কনস্টেবল আরিফ। শুক্রবার দুপুরে ব্যস্ততম সড়কে এই ঘটনার পর পুলিশ দুই পক্ষকে মোহাম্মদপুরে নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলছিল। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের কার্ডিওলজি রেজিস্টার ড. সাবরিনার ছেলে রাগীব মোহাম্মদ তার তিন বন্ধুকে নিয়ে একটি প্রাইভেটকারে চড়ে বনানী যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে শ্যামলীর মোড়ে রাগীবের গাড়ির সঙ্গে কনস্টেবল আরিফের মোটরসাইকেলে হালকা ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে কনস্টেবল আরিফ তার হেলমেট দিয়ে রাগীবের প্রাইভেটকারের সামনে ও পেছনের কাচ ভাংচুর করেন। এরপর রাগীবের দুই বন্ধু নাহিন আর মাহাদিকেও মারধর করেন আরিফ। এ সময় আশপাশের লোকজন কনস্টেবল আরিফকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। এরপর তাদের মোহাম্মদপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শী কালাম, আজাদসহ কয়েকজন মুসল্লি জানান, আমরা হঠাৎ দেখি সাদা পোশাকের একজন পুলিশ হেলমেট দিয়ে প্রাইভেটকারের সামনে ও পিছনে কাঁচ ভাঙচুর করে। পরে ওই পুলিশ সদস্যকে প্রাইভেটকার থেকে বের করে এক যুবককে মারধর করছে। জুমার নামাজ শেষ হওয়ায় সে সময় রাস্তায় অনেক লোকজন ছিল। সবাই মিলে ওই পুলিশ সদস্যকে মারধরের কারণ জানতে চায়। এতে ওই পুলিশ সদস্য উত্তেজিত হয়ে তাদের দিকে তেড়ে আসেন। এ কারণে সাধারণ মানুষ তাকে ঘেরাও করে রাখে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ এসে ওই কনস্টেবলকে সরিয়ে নেন। শ্যামলী ট্রাফিক বক্সের কর্তব্যরত ট্রাফিক কনস্টেবল রেজাউল জানান, আমি দুপুর ২টা থেকে ডিউটি শুরু করেছি। এখানে এসে দেখি দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। পরে পুলিশ এসে দুই পক্ষকেই থানায় নিয়ে গেছে। রাগীবের আরেক বন্ধু অরিত্র জানান, আমরা গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছিলাম। হঠাৎ আরিফের মোটরসাইকেল সামনে চলে আসে। তবে তার মোটরসাইকেলের তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। আরিফ হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমে হেলমেট দিয়ে গাড়ি ভাংচুর শুরু করেন। এরপর হাতের লাঠি দিয়ে আমাদের মারতে থাকেন। আমরা অনেক অনুরোধ করার পরও তিনি কোনও কথা না শুনে বেদম পেটাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মোহাম্মদপুর থানা ডিউটি অফিসার এসআই মিজান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জনকণ্ঠকে জানান, দুই পক্ষই সমঝোতায় বসতে চায়। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। ভুক্তভোগীরা মামলা করলে আমরা তা নিয়ে আইনী ব্যবস্থা নেব। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, কনস্টেবল আরিফের বাবা পুলিশের এসপিবিএন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত।
×