ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

বাংলা কথাসাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ক আলোচনা

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭

বাংলা কথাসাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ক আলোচনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে শহরজুড়ে চলছে নানা আয়োজন। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণাদায়ীর গান-কবিতাসহ নানা পরিবেশনা। শিল্পের পাশাপাশি সাহিত্যভিত্তিক আয়োজনেও ওঠে আসছে একাত্তরের কথা। তেমনই আয়োজন অনুষ্ঠিত হলো মঙ্গলবার। সে আয়োজনে সাহিত্যের মাঝেও মুক্তিযুদ্ধের স্বরূপ সন্ধান করা হলো। জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হলো ‘বাংলা কথাসাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ শীর্ষক আলোচনাসভা। খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিকদের কথনে ওঠে মুক্তিযুদ্ধনির্ভর দেশের সাহিত্য ভুবনের নানা বিষয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। আলোচনায় অংশ নেন দুই কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক ও আলিম আজিজ। সভাপতিত্ব করেন কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। হাসান আজিজুল হক বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনীতির যেমন ভূমিকা রয়েছে সেই হিসেবেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই কথা সাহিত্যিকদের রচনায় এর প্রভাব লক্ষ করা যায়। প্রকৃত অর্থে মুক্তিযুদ্ধ বাঙালীর সাফল্যের ফসল। লেখকরা সেই ইতিহাস তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন তাদের লেখায়। সাহিত্যে বাস্তবতার ও সমকালীনতা ধারণ করার বিষয়টি উল্লেখ করে হাসান আজিজুল হক বলেন, সমাজ ও কালকে আমাদের সামনে উপস্থাপন করে সাহিত্য। মুক্তিযুদ্ধের মতো এত বড় ঘটনা নিয়ে অনেক উপন্যাস লেখা হয়েছে। তাতে রক্ত-মাংসের বাস্তবতা তৈরি করেছেন লেখকেরা। কিছুটা এসেছে উপলব্ধি থেকেও। সব সময়ই যে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে সাহিত্যের জন্ম হয়, তেমনটি নয়। যেমন মহাভারত রচনা হয়েছিল, ঘটনা চাক্ষুষ না করেই। এই লেখক আরও বলেন, মানুষের উচিত মুক্তিযুুদ্ধের বইগুলো পড়া। কারণ, কিছু সার্থক উপন্যাস পাঠ করলে মানুষের চিত্তশুদ্ধি হবে। মানুষ বুঝতে শিখবে, কি আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে। কঞ্জুস নাটকের ৭০০তম প্রদর্শনী শুক্রবার ॥ দেশের সর্বাধিক মঞ্চায়িত নাটক কঞ্জুস। তুমুলভাবে দর্শকনন্দিত প্রযোজনাটির ৭০০তম প্রদর্শনী হবে আগামী শুক্রবার। লোক নাট্যদলের নাটকটির সাতশতম মঞ্চায়নটি হবে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে। এ উপলক্ষে জাতীয় নাট্যশালার লবিতে থাকছে বিশেষ প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নাটকটি নিয়ে সংক্ষিপ্ত কথনে সাজানো আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বৃহস্পতিবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লোক নাট্যদলের অধিকর্তা ও কঞ্জুসের নির্দেশক লিয়াকত আলী লাকী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রযোজনাটির কুশলী ইয়াসমীন আলী, স্বদেশ রঞ্জন দাসগুপ্ত, জিয়াউদ্দিন শিপন, রুবেল শংকর, মাসুদ সুমন, ড. মাহফুজা হিলালী প্রমুখ। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বিজয় উৎসবের তৃতীয় দিন ॥ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী বিজয় উৎসবের আয়োজন করেছে মুক্তিযুদ্ধ। আগারগাঁওয়ে জাদুঘরের নতুন ভবনে ‘মানবাধিকার দিবস থেকে বিজয় দিবস’ শীর্ষক উৎসবের তৃতীয় দিন ছিল বৃহস্পতিবার। জাদুঘরের উন্মুক্ত মঞ্চে পথনাটক ‘অরণ্যমঙ্গল’ পরিবেশন করে আরণ্যক নাট্যদল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে নারায়ণগঞ্জ আইডিয়াল হাই স্কুল ও আগারগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যাক্ষের নৃত্যশিল্পীরা। একক কণ্ঠে সঙ্গীত পরিবেশন করেন চন্দনা মজুমদার। প্রাচীন বাংলার সমাজ সংস্কৃতি ও ধর্ম বইয়ের প্রকাশনা ॥ সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ রওশন আলীর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে তার রচিত ‘প্রাচীন বাংলার সমাজ সংস্কৃতি ও ধর্ম’ বইয়ের প্রকাশনা ও স্মরণসভা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার সুপ্রীমকোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে ব্যারিস্টার রওশন আলী স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে ও জ্যোতিপ্রকাশের সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম।
×