ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মাগুরায় প্রজেরিয়া রোগে আক্রান্ত বৃদ্ধ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত: ২৩:৩৮, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭

মাগুরায় প্রজেরিয়া রোগে আক্রান্ত বৃদ্ধ শিশুর মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাগুরা ॥ দেশব্যাপী আলোচিত মাগুরার বিরল প্রজেরিয়া রোগে আক্রান্ত বৃদ্ধ শিশু বায়েজিদ (৫) মারা গিয়েছে । গতরাতে সে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারাযায়। তার মৃত্যুতে তার গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সকলে শোকাহত পিতামাতাবে সমবেদনা জানান। জানাগেছে, মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার খালিয়া গ্রামে বিরল প্রোজিরিয়া রোগে আক্রান্ত শিশু বায়েজিদ মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায়ই এ রোগে আক্রান্ত হয়। মাত্র ৫ বছর বয়সে শিশু বায়েজিদকে ৭০/৮০ বছর বয়সের বৃদ্ধের মতো দেখাযায়। খালিয়া গ্রামের দরিদ্র রাজমিস্ত্রি লাভলু শিকদার ও স্ত্রী তৃপ্তী খাতুনের একমাত্র সন্তান বায়েজীদ বিকৃত চেহারা নিয়ে ভূমিষ্ঠ হলে সবাই তাকে দেখতে আসতো। সন্তানের মায়ায় পিতা মাতা বায়েদিককে পরম আদরে লালন পালন করতে থাকেন। রাজমিস্ত্রিী পিতা লাভলু শিকদার একমাত্র সন্তান বায়েজিদকে টাকার অভাবে বড় কোন চিকিৎসকের কাছে নিতে পারেননি। ৫বছরের বায়েজিদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে বায়েজিদের চেহারায় বৃদ্ধ মানুষের ছাপ ক্রমেই আরো বেশি ফুটে উঠছে। ৭০/৮০ বছরের বৃদ্ধের মত মুখ পেটসহ শরীরের চামড়া ঝুলে যায়। চেহারায় শিশুর কোন ছাপ নেই। তাকে নিয়ে দৈনিক জনকন্ঠসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রচারিত হলে মাগুরার সিভিল সার্জন মেডিকেল বোর্ড গঠন করেন এবং তাকে ঢাকা মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সে চিকিৎসায় সুস্থ হয়। এরপর মাগুরা হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতেন। গত ৩ মাস ধরে সে অসুস্খ ছিল। চামড়া ঝুলে যাওয়ার জন্য তার প্রসাব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু প্রোজিরিয়া রোগে আক্রান্ত বলে অপারেশন করা সম্ভব হয়নি। রবিবার রাতে সে অসুস্থ হলে রাত ১২টার দিকে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে অনা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সোমবার ভোরে ৬টায় তাকে ফরিদপুর মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সোমবার রাতে সে মারাযায়। তার মৃত্যুতে তার গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সকলে শোকাহত পিতামাতাবে সমবেদনা জানান। মাগুরা সদর হাসপাতালের মেডিসিন রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, চামড়া ঝুলে যাওয়ার জন্য তার প্রসাব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কিন্তুপ্রোজিরিয়া রোগে আক্রান্ত বলে অপারেশন করা সম্ভব হয়নি।
×