ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সততার শীর্ষ তিনে

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২৩ নভেম্বর ২০১৭

সততার শীর্ষ তিনে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্যারাডাইস পেপার্স আর পানামা পেপার্সের পর এবার পিপলস এ্যান্ড পলিটিকস, বিশ্বের ৫ সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানকে চিহ্নিত করেছে, যাদের কোন দুর্নীতি স্পর্শ করেনি। এদের বিদেশে কোন ব্যাংক এ্যাকাউন্টও নেই, উল্লেখ করার মতো কোন সম্পদও নেই। বিশ্বের সবচেয়ে সৎ এই পাঁচ সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সৎ সরকার প্রধান হিসেবে সারা বিশ্বের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় স্থান অধিকার করায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চান। প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটুকু বলতে পারি মাথায় (সরকার প্রধান) পচন নেই, যদি শরীরে (সরকারের মন্ত্রী) কোথাও একটু ঘা-টা হয় তা আমরা সারিয়ে ফেলতে পারব। পিপলস এ্যান্ড পলিটিকসের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। খবরে বলা হয়, বিশ্ব রাজনীতিতে যাদের সৎ ভাবা হতো, যাদের অনুকরণীয় মনে করা হতো তাদের অনেকেই কলঙ্কিত হয়েছেন পানামা পেপার্স এবং প্যারাডাইস পেপার্সে। তবে বিপরীতধর্মী প্রতিবেদন পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নেতৃত্বের সততার মান বিচার হয়েছে। প্রথম প্রশ্ন ছিল, সরকার/রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে তিনি কি তার রাষ্ট্রের বাইরে কোন ব্যাংক এ্যাকাউন্ট করেছে? দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর তার ব্যক্তিগত সম্পদ কতটুকু বেড়েছে। তৃতীয় প্রশ্ন ছিল, গোপন সম্পদ গড়েছেন কিনা। চতুর্থ প্রশ্ন সরকার/রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ আছে কিনা। আর পঞ্চম প্রশ্ন ছিল, দেশের জনগণ তার সম্পর্কে কী ভাবেন? এই পাঁচটি উত্তর নিয়ে পিপলস এ্যান্ড পলিটিকস ১৭৩ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের কর্মকা- বিশ্লেষণ করেছে। এই গবেষণায় সংস্থাটি এ রকম মাত্র ১৭ সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান পেয়েছেন যারা শতকরা ৫০ ভাগ দুর্নীতিমুক্ত হিসেবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৭৩ সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন ও সৎ সরকার প্রধান হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেল। পাঁচটি প্রশ্নে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৯০। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং ৮৮ পেয়ে সৎ সরকার প্রধানদের তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছেন আর ৮৭ নম্বর পেয়ে এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮৫ নম্বর পেয়ে বিশ্বে চতুর্থ সৎ সরকার প্রধান বিবেচিত হয়েছেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইরনা সোলবার্গ। আর ৮১ নম্বর পেয়ে এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। পিপলস এ্যান্ড পলিটিকসের গবেষণায় দেখা গেছে, শেখ হাসিনার বাংলাদেশের বাইরে কোন ব্যাংক এ্যাকাউন্ট নেই। সংস্থাটি গবেষণায় দেখেছে, বেতন ছাড়া শেখ হাসিনার সম্পদের স্থিতিতে কোন সংযুক্তি নেই। শেখ হাসিনার কোন গোপন সম্পদ নেই বলে নিশ্চিত হয়েছে পিপলস এ্যান্ড পলিটিকস। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের ৭৮ ভাগ মানুষ মনে করেন সৎ এবং ব্যক্তিগত লোভ লালসার উর্ধে। তবে, তার সরকারের বিরুদ্ধে কিছু দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে সংস্থাটির গবেষণা প্রতিবেদেন উল্লেখ করা হয়েছে।
×