নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট মিল্কভিটা রোডে মোহাম্মাদিয়া দাওয়াখানার কবিরাজ হাকীম মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের (৫০) বিরুদ্ধে চিকিৎসা নিতে আসা ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে হাকীম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করেছে রাজৈর থানার পুলিশ।
পারিবারিক ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে রাজৈর উপজেলার পশ্চিম কোদালিয়া বাজিতপুর গ্রামের এক মা ৯ম শ্রেণীর পড়ুয়া তার মেয়ের নাকের পলিপাস চিকিৎসার জন্য টেকেরহাট যান এবং বন্দরের মিল্কভিটা রোডে মোহাম্মাদিয়া দাওয়াখানার কবিরাজ হাকীম মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের চেম্বারে নিয়ে আসে। এ সময় কবিরাজ ঐ মেয়েকে দেখে মেয়ের মাকে বলেন, ‘আপনার মেয়েকে জাদু করে নষ্ট করা হয়েছে। তাই আপনার মেয়েকে ভালো করার জন্য পীরের বাড়ির মসজিদের মাটি ও গোলাপ জল আনতে হবে। সেই মাটি ও গোলাপজল দিয়ে চিকিৎসা করা হবে।’কবিরাজের কথামত ছাত্রীর মা মেয়েকে বসিয়ে রেখে আমগ্রাম পীরের বাড়ির মসজিদের মাটি ও গোলাপজল আনতে যান। এই সুযোগে কবিরাজ হাকীম মো. মোয়াজ্জেম ঐ ছাত্রীকে ঝাপটে ধরে এবং তার সাথে অশ্লীল আচরণসহ আপত্তিকর স্থানে হাত দেয়। হাকীম এ ঘটনা কাউকে না বলতে হুমকি দেয়। বেশ কিছুক্ষণ মাটি ও গোলাপজল নিয়ে মা ফিরে এলে ছাত্রী তার মাকে বিষয়টি জানায়। এনিয়ে কবিরাজের সাথে মা’র বাক-বিতন্ডা শুরু হলে স্থানীয়দের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন ভন্ড কবিরাজকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সিরাজুল হক সরদার বলেন, ‘টেকেরহাট বন্দরে মোহাম্মাদিয়া দাওয়াখানার কবিরাজ হাকীম মো. মোয়াজ্জেম হোসেনকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ আটক করা হয়েছে।’
