ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দরে লস্কর নিয়োগে অনিয়ম নৌমন্ত্রীর অস্বীকার

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ২০ নভেম্বর ২০১৭

চট্টগ্রাম বন্দরে লস্কর নিয়োগে অনিয়ম নৌমন্ত্রীর অস্বীকার

সংসদ রিপোর্টার ॥ চট্টগ্রাম বন্দরে লস্কর নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নৌ-পরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান। এ নিয়ে সংসদে জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইনউদ্দীন খান বাদলের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম- ৮ আসনের সংসদ সদস্য মইনউদ্দীন খান বাদল যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য ও বিভ্রন্তিকর। তিনি এই অসত্য বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য সংসদ সদস্য বাদলের প্রতি আহ্বান জানান। সোমবার রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি প্রদানকালে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। এরআগে গত রবিবার সংসদে মইনউদ্দীন খান বাদল পয়েন্ট অব অর্ডারে চট্টগ্রামবন্দরে লস্কর পদে নিয়োগে মাত্র দু’জন চট্টগ্রামের বাকীদের একটি মাত্র জেলা থেকে কেন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেই প্রশ্ন রাখেন। এর জবাব দিতে গিয়ে বিবৃতিতে নৌমন্ত্রী স্পীকারের উদ্দেশ্যে করে বলেন, সংসদে মইনউদ্দীন খান বাদল বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেছেন এই বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রামবাসী নানাভাবে যুক্ত। অথচ সেই বন্দরে একটি ছোট চাকরি হবে লস্করের। সেখানে দেখা যায় লস্করের চাকরিতে ৯২জন নির্বাচন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জন মাত্র চট্টগ্রামের, বাকি ৯০ জনই অন্য একটি জেলার। এখানে একটি জেলার কথা বলা হয়েছে। এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, ওই সংসদ সদস্য’র বক্তব্য সম্পূর্ণ অসত্য এবং বিভ্রান্তিকর। কারণ সেখানে ৯২ জন নয় চাকরি দেওয়া হয়েছে ৮৫ জনকে। চাকরির বিধান মোতাবেক তাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। এসময় চাকরির বিধান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শ্রেণী বাদে অন্যান্য পদে লিখিত পরীক্ষার পর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পর যিনি সর্বোচ্চ নম্বর পান তাকেই নিয়োগ দেওয়া হয়। তাছাড়া আমরা প্রতিটি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণ করি। চাকরি দিলাম ৮৫ জনের, বলা হলো ৯২ জন। আর কোটায় দিলে চট্টগ্রামে আগামি ৩০ বছরেরও চাকরি দেওয়ার কথা নয়। তবে যেহেতু বন্দরটি চট্টগ্রামে তাই তাদের ক্ষেত্রে জেলা কোটায় নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আমরা বৃহত্তর চট্টগ্রামের ২৯ জনকে চাকরি দিয়েছি। মন্ত্রী শাজাহান খান আরও বলেন, বর্তমান সরকারে আমলে চট্টগ্রাম বন্দরের ৩ হাজার ১০০ জন লোকের চাকরি দেওয়া হয়েছে। কখনো কোন অভিযোগ উঠে নাই। এখন কেন এই অভিযোগ? আর যিনি অভিযোগ করেছেন, তার সুপারিশেও মনসুর আলী নামের একজনকে চাকুরি দেওয়া হয়েছে। এখানে কারা কারা সুপারিশ করেছেন তার তালিকা আছে। তাই তিনি (বাদল) কি করে এই অভিযোগ করেন? মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের আরেক সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু অভিযোগ করেছেন, চট্টগ্রামের নিয়োগ পরীক্ষা ঢাকায় কেন নেওয়া হয়। আমাদের যে সংখ্যক চাকরী প্রার্থী থাকে তাদের চট্টগ্রামে পরীক্ষা নেওয়ার মত অবস্থা থাকে না। তাই ঢাকাতে পরীক্ষা নেওয়া হয়। জিয়াউদ্দিন বাবলু কখনো সুপারিশ না করলেও উনার পার্টির নেতা এইচ এম এরশাদ সুপারিশ করেছিলেন, তাকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। কাজেই মইনউদ্দীন খান বাদল যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অসত্য। এই অসত্য বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।
×