স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গজালিয়া গ্রামে ৬৫ বছরের বৃদ্ধ আবু বকর গাজীর বিরুদ্ধে ১৩ বছরের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিশুটির ভাই মোঃ রুবেল মৃধা গতকাল রবিবার রাতে গলাচিপা থানায় ওই বৃদ্ধকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ শিশুটিকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আসামি পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, শিশুটি জন্ম থেকেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। ঘটনার দিন গত ১২ নবেম্বর বিকাল চারটার দিকে শিশুটি তাদের একটি গরুকে ঘাষ খাওয়ানোর জন্য বাড়ির পশ্চিম পাশের জমিতে নিয়ে যায়। এ সময় পার্শ্ববর্তী বাড়ির ৬৫ বছরের বৃদ্ধ আবু বকর গাজী কোদাল দিয়ে জমির মাটি কাটছিল। আবু বকর গাজী কোদাল কাঁধে নিয়ে শিশুটির কাছে আসে এবং কিছু কিনে খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ৫০ টাকার একটি নোট ওড়নায় বেঁধে দেয়।
এতে রাজী না হওয়ায় শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। পরে জোরপূর্বক আবু বকর গাজী শিশুটিকে ধানক্ষেতের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটির ডাকচিৎকারে বাড়ির ভিতর থেকে ভাবী লিজা বেগম ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। আবু বকর গাজী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
বাদি মোঃ রুবেল মৃধা অভিযোগ করেন, ঘটনার সময়ে বাড়িতে কোন পুরুষ ছিল না। আসামি আবু বকর গাজী প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে গত কয়েকদিন সালিশ বিচারের মাধ্যমে জোর করে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। তাদেরকে নানা ভাবে ভয় ভীতি দেখানো হয়েছে। পরে গলাচিপা থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহিদ হোসেন জানান, শিশুটির মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী পাঠান হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মোঃ ইব্রাহিম জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। যে ধানক্ষেতে ধর্ষণ করা হয়েছে, সেখানে আলামত হিসেবে ধানগাছ লন্ডভন্ড অবস্থায় রয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: