ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল

প্রকাশিত: ০২:৩৩, ১৮ নভেম্বর ২০১৭

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে মানুষের ঢল নেমেছে। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ দেওয়ার স্মৃতি বিজড়িত স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যোগ দিতে শনিবার সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে আসতে শুরু করেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশ পথ দিয়ে সুসজ্জিত পোশাকে মিছিল নিয়ে প্রবেশ করছেন অংশগ্রহণকারীরা। উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে সমাবেশস্থলে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে আসার অনেক আগেই কানায় কানায় ভরে উঠে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। উদ্যান ছাপিয়ে মানুষ ছড়িয়ে পড়েছে শাহবাগ, টিএসসি চত্বর, দোয়েল চত্বরেও। নাগরিক কমিটির ব্যানারে আয়োজিত এ সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার। বাংলাদেশে ইউনেস্কোর আবাসিক প্রতিনিধিও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসে পৌছালে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। চার ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের পর শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা তিনটি দেশাত্মবোধক গান গেয়ে শোনান। এরপর বাংলাদেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দিনটি নিয়ে নিজের লেখা কবিতা ‘স্বাধীনতা এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ আবৃত্তি করেন নির্মলেন্দু গুণ। রামেন্দু মজুমদার ও নুজহাত চৌধুরীর সঞ্চালনায় এরপর বক্তব্যের মাঝে মাঝে গানে গানে আবর্তিত হয় অনুষ্ঠান। গান গেয়ে শোনান শাহীন সামাদ, মমতাজ ও সাজেদ আকবর। আবৃত্তি করেন আসাদুজ্জামান নূর। সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দীতে মঞ্চ বানানো হয় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার আদলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য সামনে ছিল আলাদা একটি মঞ্চ। সমাবেশে যোগ দিতে শনিবার সকাল থেকে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মিছিল ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পানে। পাশাপাশি বিভিন্ন পেশা এবং শিক্ষার্থীরাও জড়ো হন সেখানে। বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে মিছিল আসছিল; বাদ্যযন্ত্র নিয়ে নেচে-গেয়ে যোগ দেন অনেকে। তাদের হাতে ছিল বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন, অনেকের গায়ে একই রঙের টি-শার্ট, মাথায় একই রঙের ক্যাপ। যেদিকেই চোখ গেছে মানুষ আর মানুষ। মানুষের এক মিলনমেলাও বটে। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে গত ৩০ অক্টোবর 'মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড' (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
×