ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শীঘ্রই পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য স্থান নির্বাচন ॥ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী

প্রকাশিত: ০১:৪০, ১৬ নভেম্বর ২০১৭

শীঘ্রই পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য স্থান নির্বাচন ॥ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য শীঘ্রই স্থান নির্বাচনের প্রাথমিক সমীক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন একটি সমীক্ষা প্রকল্প দাখিল করেছে। যা পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদন হলেই সমীক্ষা কাজ শুরু হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরে তিনি এতথ্য জানান। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে এসংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ। জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশজ জ্বালানী সম্পদের সীমাবদ্ধতা, আমদানিকৃত জ্বালানীর উচ্চমূল্য এবং অন্যান্য জীবাশ্ম ভিত্তিক বিদ্যুত প্রকল্পের উৎপাদন খরচের বিষয়টি বিবেচনা করে সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব উপায়ে বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষ্যে পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এলক্ষ্যে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ওই প্রকল্প থেকে পর্যায়ক্রমে ২০২৩ সালে ও ২০২৪ সালে ওই বিদ্যুত জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হবে। সরকারী দলের সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে ইয়াফেস ওসমান জানান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন কাজে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দেওয়ার লক্ষ্যে গবেষণা প্রকল্পে অনুদান দেওয়া হয়। চলতি বছরে এই খাতে ১২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৩৮৩টি প্রকল্পের আওতায় ১১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। এসকল প্রকল্পে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ ও সর্বনিম্ন দেড় লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সারাদেশে প্রত্যেকটি উপজেলায় একটি করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্লাব গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া চলতি বছর থেকে উপজেলা পর্যায়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের আয়োজন করা হচ্ছে। যেখানে বিজ্ঞান মেলা ও বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের আয়োজন থাকবে। গণপূর্তে ৩৬৫ প্রকৌশলীর পদ শুণ্য- গৃহায়ণ মন্ত্রী ॥ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর নির্মাণ ও সংস্কারের দায়িত্বে থাকা গনপূর্ত অধিদপ্তরে তিনজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পদের ৩৬৫ জন প্রকৌশলীর পদ শূণ্য রয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দরীয় সদস্য এম. আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। সংসদে মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, শূণ্য পদগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ৩টি, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ৫টি, নির্বাহী প্রকৌশলী ১৯টি, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ২২টি, সহকারী প্রকৌশলী ৯৫টি এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী ২২১টি পদ শূণ্য রয়েছে। মন্ত্রী জানান, শূণ্য পদ পূরণের লক্ষ্যে বিসিএস (গনপূর্ত) ক্যাডারের উপরে বর্ণিত অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী থেকে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পর্যন্ত পদগুলো পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধিন আছে। সহকারী প্রকৌশলীর শূণ্য পদগুলো ৩৬তম ও ৩৭তম বিসিএস এর মাধ্যমে পূরণের লক্ষ্যে চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। আর উপ-সহকারী প্রকৌশলীর শূণ্য পদগুলো পূরণের লক্ষ্যে সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়াধিন।
×