ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা কে কয়টা বিদেশি লিগ খেলেন

প্রকাশিত: ২০:০৩, ১৬ নভেম্বর ২০১৭

বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা কে কয়টা বিদেশি লিগ খেলেন

অনলাইন ডেস্ক ॥ দেশের বাইরে খেলোয়াড়দের ইচ্ছেমতো ঘরোয়া লিগে খেলা নিয়ন্ত্রিত করতে চাইছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এখন থেকে খেলোয়াড়দের বছরে দুটির বেশি বিদেশি লিগে খেলার ছাড়পত্র দেবে না বিসিবি। যদিও বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কিছু খেলোয়াড়ই বিদেশি লিগে খেলার সুযোগ পান। বছরে সবচেয়ে বেশি বিদেশি লিগ খেলার সুযোগ পান সাকিব আল হাসান। এ বছর তিনি খেলেছেন তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে। ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), এপ্রিল-মে মাসে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল), আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) পর আগামী মাসে আরব আমিরাতে ক্রিকেটের নতুন সংস্করণ টি-টেন খেলার কথা সাকিবের। ২০১১ সাল থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে নিয়মিত আইপিএল খেলছেন সাকিব। ২০১৪ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিগব্যাশে খেলেছেন অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের হয়ে, পরের বছর মেলবোর্ন রেনিগেডসে। গত দুই বছর অবশ্য বিগব্যাশে দেখা যাচ্ছে না সাকিবকে। ২০১৪ সালটা বাদে গত চার বছরে সিপিএলেও নিয়মিত মুখ এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ২০১০ ও ২০১১ সালে সাকিব টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলেছেন ইংলিশ কাউন্টি দল উস্টারশায়ার ও ২০১৩ সালে লিস্টারশায়ারের হয়ে। বিদেশি লিগে খেলায় সাকিবের পরই আছেন তামিম ইকবাল। এ বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে পেশওয়ার জালমির হয়ে খেলেছেন পিএসএল। গত পিএসএলেও একই দলের হয়ে খেলেছিলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার। গত জুলাইয়ে ইংলিশ কাউন্টি দল এসেক্সের হয়ে খেলেছিলেন ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট। যদিও ব্যক্তিগত কারণে টুর্নামেন্ট অসমাপ্ত রেখেই ফিরতে হয়েছে তাঁকে। আগামী মাসে সাকিবের মতো তাঁরও আরব আমিরাতে টি-টেন লিগে খেলার কথা। বছরে গড়ে দুটি করে বিদেশি লিগ খেলে থাকেন তামিম। আন্তর্জাতিক অভিষেকে বিস্ময় উপহার দেওয়া মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে অবশ্য গত বছর ভীষণ আগ্রহ ছিল বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর। যদিও বারবার চোটাঘাতে তিনি খেলতে পারেন শুধু আইপিএল ও ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট। আইপিএল পুরোটা খেললেও কাঁধের চোটে পড়ায় মোস্তাফিজের সাসেক্স-অধ্যায় শেষ মাত্র দুই ম্যাচেই। এ বছর শুধু খেলেছেন আইপিএলে, সুযোগ পেয়েছেন মাত্র এক ম্যাচে। সাকিব-তামিমের সঙ্গে তাঁর খেলার কথা আগামী ডিসেম্বরে আরব আমিরাতে টি-টেন লিগে। এখন পর্যন্ত বছরে দুটির বেশি বিদেশে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা হয়নি মোস্তাফিজের। মাহমুদউল্লাহর অবশ্য খুব বেশি বিদেশি লিগ খেলার সুযোগ হয়নি। এ বছরই তিনি সর্বোচ্চ দুটি বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে কোয়েটার হয়ে পিএসএল খেলেছেন। আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দেশের মাঠে টেস্ট সিরিজে সুযোগ না পেয়ে জ্যামাইকা তালওয়াসের হয়ে খেলেছিলেন সিপিএল। বাংলাদেশের শীর্ষ ক্রিকেটারদের মধ্যে মুশফিকুর রহিমের সবচেয়ে কম সুযোগ হয় বিদেশি লিগে খেলার। গত বছর পিএসএলে খেলেছিলেন করাচি কিংসে। এ বছর অবশ্য কোনো বিদেশি লিগ খেলার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়কের। আগামী বছরও তাঁর সুযোগ মিলবে কি না, সেটি অনিশ্চিত। এ বছর প্রথমবারের মতো বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে সুযোগ পান মেহেদী হাসান মিরাজ। যদিও ত্রিনবাগোর হয়ে তাঁর খেলা হয়নি একটি ম্যাচও। বিদেশি লিগে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা সাকিব আল হাসান বিগ ব্যাশ: অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স (২০১৪), মেলবোর্ন রেনিগেডস (২০১৫)। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল): কলকাতা নাইট রাইডার্স (২০১১-২০১৬)। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল): বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস (২০১৩), জ্যামাইকা তালওয়াস (২০১৬, ২০১৭)। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল): করাচি কিংস (২০১৬), পেশওয়ার জালমি (২০১৭) টি-টোয়েন্টি (ইংল্যান্ড): উস্টারশায়ার (২০১০-১১), লিস্টারশায়ার (২০১৩)। শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ: উথুরা রুদ্রস (২০১২)। তামিম ইকবাল টি-টোয়েন্টি (ইংল্যান্ড): নটিংহ্যামশায়ার (২০১১), এসেক্স (২০১৭) পিএসএল: পেশওয়ার জালমি (২০১৬, ২০১৭) আইপিএল: পুনে ওয়ারিয়র্স (২০১২) সিপিএল: সেন্ট লুসিয়া জুকস (২০১৩) বার্গার কিং সুপার স্ম্যাশ (নিউজিল্যান্ড): ওয়েলিংটন ফায়ারবার্ডস (২০১২) শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ: ওয়াম্বা ইউনাইটেড (২০১২)। মাহমুদউল্লাহ শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ: বাসনাহিরা ক্রিকেট ডুনডি(২০১২) পিএসএল: কোয়েটা গ্লাডিয়েটরস (২০১৭) সিপিএল: জ্যামাইকা তালওয়াস (২০১৭)। মুশফিকুর রহিম শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ: নাগেনাহিরা নাগাস (২০১২) পিএসএল: করাচি কিংস (২০১৬)। মোস্তাফিজুর রহমান টি-টোয়েন্টি (ইংল্যান্ড): সাসেক্স (২০১৬) আইপিএল: সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (২০১৬) পিএসএল: লাহোর কালান্দার্স (২০১৮)। মেহেদী হাসান মিরাজ সিপিএল: ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্স (২০১৭)।
×