ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে গ্যাসের মূল্য কম ॥ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ১৫ নভেম্বর ২০১৭

দেশে গ্যাসের মূল্য কম ॥ প্রতিমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি মূল্য বৃদ্ধি সত্ত্বেও দেশের গ্যাসের মূল্য পাশ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় কম। দেশে অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে বিদ্যুত ও সার খাতে সরবরাহ করা হচ্ছে, যার ফলে দেশের মানুষ তুলনামূলকভাবে নিম্নমূল্যে বিদ্যুত ও সার ক্রয় করতে পারছে। তবে বর্তমানে সরবরাহের তুলনায় চাহিদা অধিক থাকায় নন-বাল্ক খাতে সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামালের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুত, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গ্যাসের উৎপাদন, ট্রান্সমিশন, বিতরণ অনুসন্ধান ইত্যাদি খাতে পরিচালনা ব্যয় এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রাহক পর্যায়ে মূল্য বিতরণ করতে হয়েছে। তিনি জানান, গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এলএনজি আমদানির জন্য সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আশা করা যায়, ২০১৮ সাল নাগাদ এক হাজার এমএসসিএফডি সমতুল্য এলএনজি সরবরাহ শুরু হলে গ্যাস সঙ্কট কিছুটা নিরসন হবে। এসময় হতে শিল্প খাতে সংযোগ প্রদান বর্ধিত করা হবে। আবাসিক খাতে পাইপলাইনের গ্যাসের পরিবর্তে এলপিজি ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যুত খাতের উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে ২টি কোম্পানীর শেয়ার অফলোড করা হয়েছে। পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) ২৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানী (ডেসকো) ৩৫ ভাগ শেয়ার। তিনি জানান, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানী লিমিটেড (এপিএসসিএল) দেশীয় মুদ্রা বাজারে এক হাজার কোটির বন্ড ইস্যু করার কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সরকার ২০২১ সাল নাগাদ ২৪ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৩০ সাল নাগাদ ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষ্যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজার থেকে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের নিমিত্ত সমীক্ষা পরিচালনা করছে। যার প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগর গাজীর প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে সেরকারি পর্যায়ে স্থাপিত বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা ৫ হাজার ৪৮৫ মেগাওয়াট, যা মোট স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতার প্রায় ৪০ শতাংশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের বাল্ক বিক্রয়মূল্য ছিল ৪ টাকা ৮৫ পয়সা। সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, বর্তমান সরকার বিদ্যুতের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং সবার জন্য বিদ্যুত সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যুত আমদানির ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ২০১৩ সালের অক্টোবর হতে ভারতের বহরমপুর হতে ৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানি হচ্ছে। এছাড়া ভারতের ত্রিপুরা হতে ২০১৬ সালের মার্চ থেকে একশ’ মেগাওয়াট ও ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানি করা হচ্ছে। তাছাড়া ভারতের ঝাড়খন্ড হতে ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানি করার জন্য চলতি বছরের ৩১ মে এলওআই ইস্যু করা হয়েছে।
×