ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লেকহেড গ্রামারস্কুল খোলার আদেশে স্থগিত

প্রকাশিত: ২৩:১৮, ১৫ নভেম্বর ২০১৭

লেকহেড গ্রামারস্কুল খোলার আদেশে স্থগিত

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ঢাকার লেকহেড গ্রামার স্কুল খুলে দিতে হাই কোর্টের দেওয়া রায় রবিবার পর্যন্ত স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। ওই রায় স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনের শুনানি করে চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বুধবার এ আদেশ দেয়। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএফ হাসান আরিফ। মাহবুবে আলম বলেন, জঙ্গী কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে লেকহেড গ্রামার স্কুল সরকার বন্ধ করে দিয়েছিল। স্কুলটির মালিক ও কয়েকজন অভিভাবকের করা রিট আবেদনে বুধবার হাই কোর্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্কুলটি খুলে দেওয়ার রায় দিয়েছিল। “আমরা আগেই বলেছিলাম, ওই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিলে যাব। চেম্বার আদালত আজ শুনানি করে রবিবার পর্যন্ত হাই কোর্টের রায় স্থগিত করে দিয়েছে।” চেম্বার আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছে জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “রবিবারই আপিলে এর শুনানি হতে পারে।” জঙ্গী কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতা, ধর্মীয় উগ্রবাদে উৎসাহ দেওয়াসহ কয়েকটি অভিযোগে গত ৬ নবেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঢাকায় লেকহেড গ্রামার স্কুল বন্ধের নির্দেশ দেয়। ঢাকা জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট ইলিয়াস মেহেদী পরদিন ওই স্কুলে গিয়ে সিলগালা করে দেন। সেদিন তিনি বলেন, স্কুলটি কোনো ধরনের কার্যক্রম চালালে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচিত হবে। ওই স্কুলের মালিক খালেদ হাসান মতিন এবং ১২ শিক্ষার্থীর অভিভাবক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে যায়। তাদের দুটি রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ৯ নবেম্বর রুল জারি করে। লেকহেড গ্রামার স্কুলের গুলশান ও ধানমণ্ডি শাখা বন্ধের আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, কেন স্কুলের মালিককে স্কুল খোলা ও পরিচালনা করতে দেওয়ার জন্য বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থীদের সকল ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়রম্যানকে এর জবাব দিতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার হাই কোর্টে রুলের ওপর শুনানি হয়। এরপর মঙ্গলবার রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্কুলটি খুলে দেওয়ার রায় দেয় হাই কোর্ট। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার আদালতে গেলে ওই রায় স্থগিত হয়ে যায়।
×