ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চুরি করে বিদ্যুত সংযোগ দিলেই ৫ বছরের জেল

প্রকাশিত: ০১:৩৫, ১৪ নভেম্বর ২০১৭

চুরি করে বিদ্যুত সংযোগ দিলেই ৫ বছরের জেল

সংসদ রিপোর্টার ॥ বাসা বাড়ির জন্য বিদ্যুত চুরি করলে ৩ বছর এবং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বিদ্যুত চুরি করলে ৫ বছরের শাস্তির বিধান রেখে বিদ্যুত আইন- ২০১৭ বিল সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সংসদের অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন বিদ্যুত, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। পরে বিলটি আরো পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে প্রেরণ করা হয়। বিলটি উত্থাপনের আগে জাতীয় পার্টির এমপি ফখরুল ইমাম বিলটির কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে বিলটিকে কালাকানুন হিসেবে অবহিত করেন। তিনি বলেন, বিলে দেশের মালিক জনগণকে বিদ্যুত চুরির দায়ে কারদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু একই ঘটনায় বিদ্যুত বিভাগের কর্মচারীদের জন্য শুধু অর্থদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এটা আইনের চোখে বৈষম্যমূলক। এছাড়া বিলে অননুমোদিত বিদ্যুত ব্যবহারের তল্লাশী চালাতে সহকারী প্রকৌশলীকে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ ও তল্লাশী চালানোর ক্ষমতা প্রদানকে তিনি কালাকানুন হিসেবে উল্লেখ করেন। তবে বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বিলটি উত্থাপনের সুযোগ চাইলে কন্ঠভোটে ফখরুল ইমামের আপত্তি নাকচ হয়ে যায়। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখার স্বার্থে বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিদ্যুত উপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সংস্কার সাধন এবং মানসম্মত বিদ্যুত সেবা নিশ্চিত করার জন্য দি ইলেক্ট্রিসিটি এ্যাক্ট ১৯১০ রহিত করে, তা সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে নতুন আইন আকারে বাংলা ভাষায় বিদ্যুত আইন ২০১৭ শীর্ষক বিলটি প্রণীত হয়েছে। বিলের অপরাধ ও দন্ড অধ্যায়ে বলা হয়েছে, কোন বাসা বাড়িতে বা অন্য কোন স্থানে ব্যবহারের জন্য বিদ্যুত চুরি করলে বছরের কারাদন্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দন্ডিত হবেন। এছাড়া কোন শিল্প ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বিদ্যুত চুরি করলে ৫ বছরের কারাদন্ড বা ৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড বিধান রাখা হয়েছে।
×