ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আটকে রাখার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেন হারিরি

প্রকাশিত: ১৮:১৫, ১৩ নভেম্বর ২০১৭

আটকে রাখার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেন হারিরি

অনলাইন ডেস্ক ॥ ইচ্ছার বিরুদ্ধে সৌদি আরবে আটকে রাখার অভিযোগ ও গুঞ্জন প্রত্যাখ্যান করে জনসম্মুখে এসে লেবাননের পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি বললেন, ‘আমি মুক্ত।’ শিগগিরই দেশে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেছেন হারিরি। নয় দিন আগে ৩ নভেম্বর সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সরকারি সফরে যাওয়ার পরের দিন ৪ নভেম্বর হঠাৎ পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। এ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি গরম হয়ে ওঠে। লেবাননের ফিউচার টিভির সঙ্গে রোববার কথা বলেন সাদ হারিরি। এ টেলিভিশন স্টেশনটি তার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রেখে চলে। তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবের বাদশাহি জমিনে আমি মুক্ত। আমার পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে কিন্তু আমি আমার পরিবারের দেখভালও করতে চাই।’ অদূর ভবিষ্যতেই লেবাননে ফেরার আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাদ হারিরি। দেশে ফেরার বিষয়টি পরিষ্কার করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কয়েক মাসের কথা বলছি না... আমি কয়েক দিনের কথা বলছি এবং লেবাননে ফিরে যাব।’ ৩ নভেম্বর হঠাৎ করে অনির্ধারিত সফরে সৌদি আরবে যান লেবাননের সুন্নি রাজনীতিক সাদ হারিরি। দীর্ঘদিন ধরে হারিরি পরিবার সৌদি আরবের ঘনিষ্ট মিত্র। ৪ নভেম্বর রিয়াদে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক বিবৃতি পাঠিয়ে তাতে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন সাদ হারিরি। ওই বিবৃতিতে সাদ হারিরি অভিযোগ করেন, লেবাননে ইরান ও তার রাজনৈতিক জোটের শরিক হিজবুল্লাহর অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে এবং গুপ্ত হত্যার শিকার হওয়ার আশঙ্কায় তিনি পদত্যাগ করছেন। ২০০৫ সালে তার বাবা রফিক হারিরি আততায়ীর ট্রাম্প বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিলেন। কিন্তু লেবাননের কর্মকর্তারা দাবি করেন, সৌদি আরবে সাদ হারিরিকে হয় গৃহবন্দি করা হয়েছে, না হয় তাকে আটকে রাখা হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রোববার রাতে টেলিভিশনে সাদ হারিরি উপস্থিতি হয়তো তার দেশের জনগণের জন্য এক ধরনের সান্ত্বনা। লেবাননের অধিকাংশ মানুষের মনে যে বিশ্বাস জন্মেছে, তাকে সৌদি আরবে আটকে রাখা হয়েছে, তা দূর করতেই তাকে টেলিভিশনের সামনে আনা হয়েছে। সূত্র : আলজাজিরা অনলাইন।
×