ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই টিপিপি বাঁচানোর চেষ্ঠা

প্রকাশিত: ০০:০৩, ১১ নভেম্বর ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই টিপিপি বাঁচানোর চেষ্ঠা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) চুক্তি এগিয়ে নিতে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১১ দেশের শীর্ষ নেতারা। তবে মূল চুক্তির কিছু বিষয় স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার ভিয়েতনাম এবং জাপানের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে। ভিয়েতনামের বন্দরনগরী দানাংয়ে এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (অ্যাপেক) সম্মেলনের ফাঁকে টিপিপির ১১ দেশের মন্ত্রীরা বৈঠক করেছেন। শনিবার অ্যাপেকের এ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড্র টাম্প ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের নেতারাও অংশ নিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে ভিয়েতনামের বাণিজ্যমন্ত্রী ট্রান তুয়ান আনহ বলেন, আমরা সবচেয়ে কঠিন অংশটি উতড়ে গিয়েছি। তবে এখনো চুক্তি চূড়ান্ত হয়নি। তিনি বলেন, টিটিপি’কে এখন থেকে কম্প্রিহেনসিভ অ্যান্ড প্রোগ্রেসিভ অ্যাগ্রিমেন্ট ফর ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (সিপিটিপিপি) নামে ডাকা হবে। এদিকে, নতুন এ ব্যবস্থার ফলে টিপিপি চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ফিরে আসবে বলে প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন জাপানের অর্থমন্ত্রী তোশিমিতশু মোতেগি। শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্যিক অপব্যবহার ও অন্যায় সুযোগ গ্রহণ সহ্য করবে না যুক্তরাষ্ট্র। অ্যাপেক এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলভুক্ত ২১ দেশের জোট; বিশ্বের মোট জিডিপির ৬০ শতাংশই অ্যাপেক দেশগুলোর। পূর্বসূরি বারাক ওবামার আমলে ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) বাণিজ্য চুক্তি বর্জন করে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি ট্রাম্প। ওই বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রসহ এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১২টি দেশ টিপিপি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী অন্য দেশগুলো হলো অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ব্রুনাই, কানাডা, চিলি, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, পেরু, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম। আমেরিকাকে ছাড়াই টিপিপি চুক্তি বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করে চলছে বাকি ১১টি দেশ। কিন্তু নানা ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা ও বিভ্রান্তির কারণে এ কাঠামো হুমকির মুখে পড়েছে। এক্ষেত্রে নতুন বোঝাপড়ায় পৌঁছেছে বলে যে গুজব শোনা গিয়েছিল, কানাডা তা অস্বীকার করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর এ চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
×