বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সংগ্রাম-ঐতিহ্যের প্রতীক দেশের বৃহত্তম যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের আজ ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাত্র এক বছরের মাথায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭২ সালের ১১ নবেম্বর দেশে প্রথম এ যুব সংগঠনটি গঠিত হয়।
১৯৭২ সালের এই দিনে ঢাকা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক যুব কনভেনশনে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও যুব আন্দোলনের পথিকৃৎ শহীদ শেখ ফজলুল হক মনিকে চেয়ারম্যান করে গঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। আর সংগঠনটির গঠনের অন্যতম লক্ষ্যই ছিল দেশের যুব সমাজকে সুসংগঠিত করে স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া। গত ৪৫ বছরে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও হাজারো নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে যুবলীগ আজ দেশের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠনের পরিণত হয়েছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুবলীগের গৃহীত কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে- আজ সকাল সাড়ে ৬টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি ও ১৫ আগস্টের শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ এবং দুপুর ২টায় সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্ব গেট থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি। ঢাকা ছাড়াও সারাদেশেই যুবলীগ আজ বর্ণাঢ্য র্যালি বের করবে।
যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচী সফল করতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর শাখার বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়া রোহিঙ্গা শিবির পর্যন্ত গেলেন গাড়ির বহর নিয়ে, পথে পথে লোক জড়ো হলো। কিন্তু তাদের ব্যানারে দেখা গেল সকলে মনোনয়ন প্রত্যাশী। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে একটি ব্যানার বা ফেস্টুন দেখা গেল না। এমনকি পথে পথে নেত্রীর সঙ্গে রিলিফ নিয়েও কেউ এগিয়ে এলেন না।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাছে খালেদা জিয়ার হাসিমুখ দেখে নেতাকর্মীরা হাসিতে সচ্ছল হয়ে উঠেন। কিছুক্ষণের জন্য হলেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তার নেতাদের হাসির বন্যা দেখে এলাকাবাসী তার নাম দিয়েছে আনন্দময়ী নেত্রী হিসেবে। অন্যদিকে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও শেখ রেহানার পুত্রবধূ গিয়েছিলেন। ওই সময় শেখ হাসিনার বেদনার্ত মুখ দেখে বিশ্বখ্যাত গার্ডিয়ান পত্রিকা তাকে মাদার অব হিউমিনিটি (মানবতার জননী) বলে আখ্যায়িত করেছেন।
সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের পরিচালনায় বর্ধিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ শুক্রবার এক যুক্ত বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচী যথাযথভাবে পালনের জন্য সংগঠনের সব শাখার নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: