ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে উন্নতির দাবি সারোয়ার ইমরানের

প্রকাশিত: ০৪:১২, ১১ নভেম্বর ২০১৭

প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে উন্নতির দাবি সারোয়ার ইমরানের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টেস্ট ক্রিকেটের যাত্রা শুরুর ১৭ বছর পেরিয়ে গেছে। ১৮তম বর্ষে পদার্পণ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এই দীর্ঘ সময়ে উন্নতিটা খুব একটা হয়নি। ২০০০ সালের ১০ নবেম্বর ভারতের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন সারোয়ার ইমরান। তিনি যতটা আশা করেছিলেন ততোটা অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। শুক্রবার এমনটাই দাবি করলেন তিনি। গত ১৭ বছরে বাংলাদেশ দল খেলেছে ১০৪টি টেস্ট। জয় এসেছে মাত্র ১০টি। আর ১৫ ড্র ছাড়া বাকি ৭৯ ম্যাচেই হার দেখেছে তারা। এখন পর্যন্ত এই ফরমেটে নিজেদের আসন পাকাপোক্ত করার সংগ্রামে রয়েছে বাংলাদেশ দল। ঘরের মাটিতে দারুণ শক্তিধর হিসেবে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারলেও বিদেশের মাটিতে এখন পর্যন্ত একেবারেই দুর্বল তারা। সম্প্রতিই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সেটা আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে। এ বিষয়ে সারোয়ার ইমরান বলেন, ‘১৭ বছরে যতটুকু আশা করছিলাম, ততটুকু হয়নি। যতদিন পর্যন্ত জাতীয় লীগের (এনসিএল) খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা না আসবে, সেখানে মনোযোগ কম যাবে। আর ততদিন পর্যন্ত আমাদের টেস্টে উন্নতি করা কঠিন। কারণ আমরা শুধু ওয়ানডে অনুশীলন করি। টেস্ট করি না। আমাদের একটাই চারদিনের টুর্নামেন্ট, সেটাও আমরা ঠিক মতো খেলি না।’ শুরুর সময়টা অবশ্য দলকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন সারোয়ার। কারণ, সেই দলে অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ছিলেন। এরপরও সবেমাত্র শুরু করাটা বেশ চ্যালেঞ্জেরই ছিল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ওই সময় অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ছিল। আকরাম-বুলবুল, এরা সবাই অনেক বছর বাংলাদেশ টিমে খেলেছে। এ কারণে প্রথম ইনিংসে ৪০০ করেছিলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা বিপর্যয়ে পড়েছিলাম। আমাদের আশা ছিল ব্যাটসম্যানরা বড় রান করবে।’ এই দীর্ঘ সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক পালাবদল হয়েছে। ক্রিকেটাররা বদলেছেন, খেলার কৌশল বদলেছে বারবার কোচের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে। পরীক্ষা-নিরীক্ষাও কম হয়নি। এটাকে অভিজ্ঞতা অর্জনের অন্তরায় মনে করছেন সারোয়ার, ‘এটা বিরাট কারণ। চারদিনের খেলা জাতীয় দলের কেউ খেলে না। তারপরও তারা টেস্টে ভাল করে। এটা একটা বিরাট পাওয়া। ওরা নিজেরা যতটা পারে, সেটাই ওরা খেলে।’ কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে ভাল করার জন্য সবচেয়ে জরুরী যেটা তা হচ্ছে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে উন্নতি করা। সেটা এখন পর্যন্ত তেমন এগোতেই পারেনি। এ বিষয়ে সারোয়ার বলেন, ‘জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা বিপিএল খেলে, প্রিমিয়ার লীগেও খেলে। কিন্তু জাতীয় লীগে তারা খেলে না। এটা থেকেই বোঝা যায় ওই লীগের অবস্থা কি।’ কিন্তু এই অবস্থার পরিবর্তন আনা জরুরী। সেজন্য কিছু পরামর্শও রেখেছেন সারোয়ার, ‘ম্যাচ ফি কম। ম্যাচ ফি বাড়ালে হয়তো সবাই খেলতে চাইবে। মিডিয়াতেও ওই রকম ফোকাস করা হয় না এ লীগটাকে। টিভিতে খেলা দেখায় না। এগুলো বাড়াতে হবে।’
×