ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান সৌদিসহ তিন দেশের

প্রকাশিত: ১৮:৩০, ১০ নভেম্বর ২০১৭

নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান   সৌদিসহ তিন দেশের

অনলাইন ডেস্ক ॥ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কুয়েত সে দেশের নাগরিকদের লেবানন লেবানন ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে যারা এখন সেদেশে অবস্থান করছেন তাদেরও যতোটা দ্রুত লেবানন ছাড়তে বলা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালযের উদ্বৃতি দিয়ে সৌদি আরবের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা এসপিএ জানায়, সৌদ আরব তার দেশের সকল নাগরিককে লেবানন ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। এর এক ঘণ্টা আগে কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের নাগরিকদের অনতিবিলম্বে লেবানন ছাড়ার নির্দেশ দেয়। সৌদি আরবের আরেক মিত্র বাহরাইনও নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় সেদেশের নাগরিকদের লেবান সফর নিয়ে নির্দেশনা দেয়। গত সপ্তাহে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সা’দ হারিরি সৌদি আরব সফরকালে থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এরপর থেকে সা’দ হারিরির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সা’দকে সম্ভবত রিয়াদে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। রিযাদ অবশ্য সা’দকে গৃহবন্দি করে রাখার খবর অস্বীকার করেছে। তার দল লেবানন ফিউচার মুভমেন্ট পার্টি দাবি করেছে, প্রধানমন্ত্রী খুব দ্রুতই সৌদি থেকে দেশে ফিরবেন। টেলিভিশনে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুয়াদ সিনিওরাকে উদ্বৃত করে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী ও ফিউচার মুভমেন্ট দলের নেতা সা’দ হারিরিকে সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে স্বপদে পুনর্বহাল করতে হবে। আল-জাজিরার লেবানন অফিস জানিয়েছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইকেল আওন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, আরব লিগ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন ও রাশিয়ার কাছে প্রধানমন্ত্রী হারিরির অপ্রত্যাশিত পদত্যাগের ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করবেন। এদিকে বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, লেবানন সরকার সা’দ হারিরির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো পদত্যাগপত্র পাননি। তাই দেশটি এখনও সা’দকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই বিবেচনা করছে। সৌদি আরবে সা’দকে আটকে রাখার ঘটনাকে তারা দেমের নেতাদের উপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করছেন। উল্লেখ্য, নিজের জীবনহানির আশঙ্কা করে এর জন্য ইরান ও শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দায়ী করে গত ৪ নভেম্বর পদত্যাগের ঘোষণা দেন সা’দ হারিরি। সা’দের পিতা রফিক হারিরিও লেবাননের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। যিনি ২০০৫ সালে এক বোমা বিস্ফোরণে মারা যান। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য তার সমর্থকরা হিজবুল্লাহকে দায়ী করে আসছে।
×