ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

টাইলস রফতানিতে নীতি সহায়তা চান উদ্যোক্তারা

প্রকাশিত: ০২:৫২, ৮ নভেম্বর ২০১৭

টাইলস রফতানিতে নীতি সহায়তা চান উদ্যোক্তারা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সরকারের নীতি-সহায়তা পেলে তৈরি পোশাকের মতো বিদেশে বিপুল পরিমাণ টাইলস রফতানি সম্ভব। এ জন্য সবার আগে প্রয়োজন কাঁচামাল আমদানি ও রফতানি সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন। কারণ ১১ প্রকারের টাইলসের মধ্যে বাংলাদেশে শুধু ৩ ধরনের টাইলস উৎপাদন হয়। বাকিগুলো আমদানিনির্ভর। এ প্রেক্ষিতে সরকার নীতিমালার মাধ্যমে উন্নতমানের টাইলসের বিস্কুট আমদানিতে শুল্ক হ্রাসের সুযোগ দেয় তাহলে দেশে অনেক পলিশিং ফ্যাক্টরি গড়ে উঠবে। এবং এসব ফ্যাক্টরি থেকে বিদেশে ফিনিশড টাইলস রফতানি সম্ভব। বুধবার রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছে টাইলস রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-তাইওয়ান সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। টাইলস ডিলার্স এন্ড ইম্পোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের বিজ্ঞাপনের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান শরীফ বলেন, বাংলাদেশ-তাইওয়ান সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেটি আনগেন্ডজড-আনফিনিশড টাইলস আমদানির পর পলিশিং করে বিদেশে টাইলস রফতানি করছে। কিন্তু একটি অসাধু চক্র কাস্টমসকে ভুল বুঝিয়ে রফতানিতে বাধার সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি শুল্ক গোয়েন্দা চট্টগ্রাম কাস্টমসে ৪০ কন্টেইনার আনগেন্ডজড-আনফিনিশড টাইলস আটক করেছে। তাদের দাবি, এগুলো ফিনিশড প্রোডাক্ট। অথচ বুয়েট টেস্টে প্রমাণিত হয়েছে, এগুলো আনগেন্ডজড টাইলস। এ অবস্থায় একদিকে বিদেশি ক্রেতারা তাদের অর্ডার ফিরিয়ে নিচ্ছে, অন্যদিকে বন্দরের মাশুল গুনতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এনবিআর থেকে শুল্ক গোয়েন্দা, বন্ড কমিশনারেট, কাস্টমস হাউজের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করে ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করলে সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে। তার আগে বন্দর থেকে টাইলসগুলো অঙ্গীকারনামা অথবা বন্ডের মাধ্যমে খালাস জরুরি। কারণ ব্যাংক ঋণের সুদ দিন দিন বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে রফতানি বন্ধ করে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। এতে একটি সম্ভাবনাময় খাতের অপমৃত্যু ঘটবে। এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জিয়াউদ্দিন বলেন, বিদেশে টাইলস রফতানিকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের ধারণা, বন্ড সুবিধার আওতায় আনগেন্ডজড-আনপলিশড টাইলস আমদানির পর সেটি পলিশ করে খোলা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ-তাইওয়ান সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ সব টাইলস বিদেশে রফতানি করেছে, যার সব প্রমাণ আছে। কাস্টমসের ভুল সিদ্ধান্ত ও টাইলস ডিলার্স এন্ড ইম্পোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের অপপ্রচারের কারণে বর্তমানে রফতানি বাধাগ্রস্তহচ্ছে। বর্তমানে ভারতে ৪শ বেশি পলিশিং ফ্যাক্টরি আছে। এসব ফ্যাক্টরির ফিনিশড টাইলস রফতানি করে ভারত দ্বিতীয় বৃহৎ রফতানিকারক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। টাইলসের প্রধান রফতানিকারক দেশ চীনে ৭ হাজারের বেশি পলিশিং ফ্যাক্টরি আছে। শ্রমের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখান থেকে কারখানা স্থানান্তরের কথা ভাবছে উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশ নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে।
×