ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আরও ৫০ হাজার টন চিনি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন

প্রকাশিত: ০২:০৯, ৮ নভেম্বর ২০১৭

আরও ৫০ হাজার টন চিনি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঘাটতি মেটাতে আরও ৫০ হাজার (১০ শতাংশ বেশি অথবা কম) মেট্রিক টন চিনি আমদানি করবে সরকার। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানির অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক ও সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে ওই সভায় কমিটির অন্য সদস্যদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান। অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতি মেট্রিক টন ৪৬৫ দশমিক ২৭ মার্কিন ডলার হিসেবে মেসার্স গেন্টাবোপিউ ইম্পোর্ট এক্সপোর্ট লিমিটেড চিনি সরবরাহ করবে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মেসার্স এগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেডের সহায়তায় এ চিনি সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। আর এতে সরকারের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬৩ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার টাকা। শিল্পমন্ত্রণালয় সূত্র মতে, ঘাটতি মেটাতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনকে ১ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানির অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সে মোতাবেক আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি করতে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। বিএসএফআইসি সূত্র মতে, চলতি ২ নবেম্বর পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৫৬৬ মেট্রিক টন চিনি মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে সামরিক বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ইত্যাদি রেশনের জন্য সংরক্ষতি রয়েছে ২০ হাজার ২০২ মেট্রিক টন। ফলে বিতরণযোগ্য চিনির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩৬৪ মেট্রিক টনে। এ চিনি বাজার নিয়ন্ত্রণসহ জরুরি প্রয়োজন মেটাতে পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছে সংস্থাটি। এছাড়া চলতি বছরের অতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে আখ উৎপাদন ব্যাহত হবার আশঙ্কা করছে বিএসএফআইসি। ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে চিনির দাম বৃদ্ধিও চেষ্টা করতে পারে। আর এজন্য বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগভাগেই চিনি আমদানির করবে সরকার।
×