ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রান্না

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৬ নভেম্বর ২০১৭

রান্না

ইদানিং সাউথ ইন্ডিয়ান খাবার দোসা বেশ জনপ্রিয়। আপনি চাইলে ঘরে বসেই তৈরি করে ফেলতে পারেন এগুলো। দোসাসহ আরও দু’টি রেসিপি থাকছে এবারে। দিয়েছেন- তাহমিনা আক্তার ফ্রুট কাস্টার্ড যা লাগবে : দুধ এক লিটার, ডিমের কুসুম দুইটা, কাস্টার্ড পাউডার তিন টেবিল চামচ, চিনি ১/২ কাপ বা স্বাদ মতো, কিশমিশ দুই টেবিল চামচ, কাঠ বাদাম দুই টেবিল চামচ, ফল (কলা, আম, আপেল, আঙ্গুর, লাল বা সবুজ চেরি ফল, ডালিম/আনার, স্ট্রবেরি) কিউব করে কাটা প্রায় ২ কাপ। যেভাবে করবেন : প্রথমে ডিমের কুসুম দুটি একটি বাটিতে নিয়ে ভাল করে ম ফেটে নিন। এবার কাস্টার্ড পাউডার দিয়ে ভাল করে মেশান এবং নরম মিশ্রণ তৈরি করুন। একটি পাত্রে দুধ নিন। অল্প আঁচে জাল দিন। দুধ একটু ঘন হয়ে এলে চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। ডিম এবং কাস্টার্ডের মিশ্রণটি দুধের সঙ্গে ঢেলে দিন এবং নাড়তে থাকুন অল্প আঁচে রান্না করুন। মিশ্রণটি একদম অল্প আঁচে রান্না করতে হবে এবং বিরতিহীনভাবে নাড়তে হবে তা না হলে কাস্টার্ড জমে যাবে। কাস্টার্ড হালকা ফুটে উঠলে নামিয়ে ফেলুন। এরপর ঠা-া হলে ফ্রিজে রাখুন। খবার সময় আপনার পছন্দমতো ফল দিন এবং পরিবেশন করুন। দোসা যা লাগবে: আধা সিদ্ধ করা পোলাওয়ের চাল- ৩ কাপ, কালাইয়ের ডাল- ১ কাপ, খাবার সোডা- পরিমাণ মতো, লবণ- ১ চা চামচ, চিনি- ১/২ চা চামচ। যেভাবে করবেন: চাল ও ডাল ৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে মিহি করে বেটে ফেলুন অথবা ব্লেন্ডারে মিহি করে ব্লেন্ড করে নিন। চাল-ডাল মিশ্রণটিতে লবণ, চিনি ও পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পাতলা করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আরও ৬/৭ ঘণ্টা রাখুন। এবার একটি নন স্টিক প্যানে তেল ব্রাশ করে হাল্কা আঁচে গরম করুন। তেল গরম হলে পাত্রে এক টেবিল চামচ দোসা তৈরির মিশ্রণ ঢালুন এবং পাত্রের চারদিকে চামচ দিয়ে পাতলা ও গোল করে ছড়িয়ে দিন। দোসার নিচের অংশ হালকা বাদামি হয়ে কোণাগুলো উঠে আসলে বুঝতে হবে দোসা হয়ে গেছে। দোসা উঠানোর সময় সাবধানে উঠাতে হবে। চাইলে গোল করে মুড়িয়ে দিতে পারেন অথবা সোজাও রাখতে পারেন। প্রতিবার পাত্রে দোসার মিশ্র্রণ দেয়ার আগে পাত্রটি কাপড় দিয়ে মুছে তেল ব্রাশ করে নিতে হবে। না হলে দোসা আটকে যাবে এবং উঠানোর সময় ছিঁড়ে যাবে। নারকেল সন্দেশ যা লাগবে: মিষ্টিযুক্ত নারকেল- ২ কাপ, কনডেন্সড মিল্ক- অর্ধেক কৌটার বেশি, ঘি-১ টেবিল চামচ, আপনার পছন্দের খাবার রং। যেভাবে করবেন: প্রথমে ঘি অল্প আঁচে গরম করে নিতে হবে। তারপর নারকেল দিয়ে এক মিনিট ভাজতে হবে। এবার কনডেন্সড মিল্ক ঢেলে দিয়ে মাঝারি চুলায় রান্না করতে হবে। যতক্ষণ নারকেল একসঙ্গে ভাজা না হয়। ভাজা হয়ে গেলে ভাজা নারকেলকে তিন ভাগে ভাগ করে এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা খাবার রং দিতে হবে। চাইলে রং নাও করতে পারেন। এখন হাতের সাহায্যে গোল গোল করে নারকেল গুঁড়ার (এই গুঁড়াটা বাজারে পাওয়া যায়) ওপর গড়াতে হবে। আপনার কাছে মিষ্টিযুক্ত নারকেল না থাকে তাহলে কোড়ানো নারিকেল এ চিনি মিশিয়ে নিবেন তারপর এই সন্দেশ করবেন।
×