ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জমি মালিকদের পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ শুরু

প্রকাশিত: ২০:১৪, ৫ নভেম্বর ২০১৭

জমি মালিকদের পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ ধানখালীর লোন্দা মৌজায় ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক দ্বিতীয় তাপ বিদ্যুত প্রকল্পের অধিগ্রহনকৃত জমির মালিকদের পুনর্বাসন পল্লীর কাজ শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের জন্য ১৫০ পরিবারকে পুনর্বাসনে ২৫ একর জমির অধিগ্রহন প্রক্রিয়া আগেই সম্পন্ন হয়েছে। ৯২ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে পুনর্বাসন পল্লী নির্মাণে। প্রকল্পসুত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৯ হাজার দুই শ’ কোটি টাকা ব্যয় ১৩২০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজির মাধ্যমে এ বিদ্যুত প্লান্টটি নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ৮৬৯ কোটি টাকা ব্যয় (বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে) অধিগ্রহন, ভূমি উন্নয়ন, ভূমি সুরক্ষা, আবাসন, বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ হবে। রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল) এ সব কাজ সম্পন্ন করছে। এ বিদ্যুত প্রকল্পের জন্য লোন্দা মৌজায় মোট ৯১৫ একর জমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়। এক্সপোর্ট এজেন্সী’র (ইসিএ) মাধ্যমে দরপত্রের মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালের শেষের দিকে মূল বিদ্যুত প্লান্টের কাজ শুরু হবে। প্রথমেই ২৫ একর জমিতে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে পুনর্বাসন প্রকল্পের ভূমি উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। একদিকে বাড়িঘর-জমির টাকা তো পাবেই ক্ষতির শিকার লোকজন। এছাড়া এ প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা ক্ষতিপুরন পাচ্ছেন নির্ধারিত মূল্যের তিনগুন অর্থ। আরপিসিএল এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ সেলিম ভুইয়া নিশ্চিত করেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রায় ৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যেখানে প্রত্যেক পরিবারকে এক হাজার ৫০ বর্গফুট আয়তনের নির্দিষ্ট বাউন্ডারি ঘেরা সেমি পাকা ঘর তুলে দেয়া হবে। প্রত্যেক ঘরে তিনটি বেডরুমের পাশাপাশি খাবার ও রান্নাঘর থাকছে। এজন্য বরাদ্দ রয়েছে ৬০ কোটি টাকা। থাকছে এ প্রকল্পে বিদ্যুত সুবিধা। থাকছে রাস্তা, সড়ক বাতি, লেক। সাত হাজার তিন শ’ ১৬ বর্গফুট এলাকা নিয়ে নির্মাণ হবে মসজিদ। থাকছে কবরস্থান। দুই হাজার দুই শ’ ৫৯ বর্গফুট এলাকায় একটি মার্কেট নির্মাণ করা হবে। এক হাজার আট শ’ ২৯ বর্গফুট এলাকা নিয়ে নির্মিত হবে হাসপাতাল। হবে স্কুল-মাদ্রাসা নির্মাণ। নির্মাণ হচ্ছে বহুমুখি ব্যবহারের জন্য আটত্রিশ হাজার সাত শ’ ৩৬ বর্গমিটার এলাকায় একটি কমিউনিটি হল। থাকবে খেলার মাঠ, লেকসহ মিনি পার্ক। ৬৫ হাজার তিন শ’ ৪০ বর্গফুট আয়তনের একটি পুকুর খনন করা হবে। এছাড়া বিদ্যুত প্লান্ট এরিয়ার অবকাঠামোসহ রাস্তাঘাট উন্নয়ন এবং এখানকার মানুষের জীবন মান উন্নয়নে প্রকল্প থেকে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুত থেকে তিন পয়সা করে উন্নয়ন তহবিলে জমা হবে। তাতে বছরে অন্তত ২৫ কোটি টাকা জমা হবে। যা ব্যয় হবে পুনর্বাসিত মানুষের জীবন মানের উন্নয়নে। কিন্তু ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মানে অধিগ্রহনকৃতরা যে ভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে তাতে মানুষ আস্থা ফিরে পাচ্ছেন না। কারন পায়রা বিদ্যুত প্লান্টের জমির মালিকরা এখন পর্যন্ত ৬৪০ একর জমির ক্ষতিপুরন বাবদ কোন টাকা উত্তোলন করতে পারেনি। এছাড়া ওইসব পরিবারকে এখন পর্যন্ত পুনর্বাসন করা হয়নি। তিনি দালাল নিয়ন্ত্রনেরও দাবি করেন।
×