ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর মহাসড়কের গর্তে আটকে থাকছে যানবাহন

প্রকাশিত: ০০:৩৭, ২১ অক্টোবর ২০১৭

ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর মহাসড়কের গর্তে আটকে থাকছে যানবাহন

তৌহিদ আক্তার পান্না, ঈশ্বরদী ॥ অসংখ্য খানাখন্দে ভরে গেছে ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক। বিশেষ করে ভাঙ্গুড়া উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন অংশে বেশী আক্রান্ত। এখানকার ভেরামারা বাজার ও আশপাশের অংশে সড়কের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। বৃষ্টি নামলেই সৃষ্ট গর্তের গভীরতা বাড়তে থাকে। প্রায়ই যাত্রী ও মালবাহী বিভিন্ন যানবাহন এসব গর্তে আটকা পড়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। গত দুই মাসে মহাসড়কের এ অংশে ছোট-বড় ১০ থেকে ১২টি যানবাহন আটকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। সড়ক ও জনপথের লোকজন বড় বড় গর্ত ইট ও বালু দিয়ে ভরাট করলেও তা কোন কাজে আসছে না। সরেজমিনে দেখা গেছে, ভেরামাড়া বাজারের পূর্ব এবং পশ্চিম পাশের দ’ুদিকেই রাস্তায় বড় বড় গতের্র সৃষ্টি হয়েছে। এই বাজার দিয়ে সিরাজগঞ্জ এবং পাবনা রুটে প্রতিদিন অসংখ্য ভারী যানবাহন চলাচল করে থাকে। বিশেষ করে খাদ্যশস্য বোঝাই ট্রাকগুলো ওই সড়কে বেশি চলাচল করে। ফলে সড়কের নাজুক অবস্থায় ট্রাকগুলো চলছে ঝুঁকি নিয়ে। এছাড়া ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর সড়কে প্রতিদিন প্রায় দু’ ডজন ঢাকাগামী বাস চলাচল করে। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে এসব যানবাহন চলাচল করলেও দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি সংস্কার করা হচ্ছে না। ফলে নিয়মিত দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রী, চালক ও ব্যবসায়ীদের। ভাঙ্গুড়া বাজারের ধান-চাল ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ভেরামাড়া বাজারে অবস্থিত দোকানগুলো সড়কের চেয়ে উঁচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। ফলে রাস্তার গর্ত আরো গভীর হয়। এছাড়া সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বাজার থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে দু-তিন কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহে খুলনা থেকে ফরিদপুরগামী চাল ভর্তি একটি ট্রাক ভেরামাড়া বাজারের পশ্চিম পাশের একটি গর্তে আটকে পড়ে। ক্রেন না থাকায় অন্য ট্রাক দিয়ে আটকে পড়া ট্রাকটিকে সরানোর চেষ্টা করা হয়। পরে নিরুপায় হয়ে সব চাল নামিয়ে গর্ত থেকে ট্রাকটিকে তোলা হয়। এভাবে প্রায়ই একাধিক মাল ও যাত্রীবাহী গাড়ি আটকে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। আটকে পড়া এস আই এগ্রো ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির ট্রাকটির চালক সুজন আলী জানান, এমনিতে ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর সড়কের পাশে জনবসতি বেশি। এমতাবস্থায় সড়কে বড় বড় গর্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি। এ বিষয়ে পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হেদায়েতুল হক জানান, সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায়। তাই ইউনিয়ন পরিষদের অর্থ দিয়ে এর সংস্কার কাজ করা সম্ভব নয়। তবে তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগকে সড়কটি সংস্কার করার জন্য মৌখিকভাবে অনুরোধ করেছেন। ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর ও চাটমোহর উপজেলার দায়িত্বে থাকা সওজের পাবনা কার্যালয়ের কার্য সহকারি তাজুল ইসলাম জানান, ‘সড়কটি খারাপ থাকার কারণে প্রায়ই ট্রাক-বাস আটকে থাকে। প্রতিবছর মেরামত করা হলেও ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কের পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। তবে আপাতত সড়ককের ওই অংশটুকু মেরামত করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হবে বলে তিনি জানান।
×