ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অসময়ের টানা বর্ষণে সবজিসহ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে

প্রকাশিত: ০২:৩৩, ২০ অক্টোবর ২০১৭

অসময়ের টানা বর্ষণে সবজিসহ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অসময়ের টানা বর্ষণে সবজিসহ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ নিয়ে ভোক্তাদের অস্বস্তি সবচেয়ে বেশি। দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগির। এছাড়া চাল, ডাল, আটা, চিনিসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর কাপ্তান বাজার, কাওরান বাজার, ফকিরাপুল বাজার এবং মুগদা বড় বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বৃষ্টির বাগড়া ছিল আরেক যন্ত্রণার নাম। ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে ভুগিয়েছে অসময়ের এই বৃষ্টি। শীতকালীন সবজির চাষাবাদে হেমন্তের বৃষ্টি বড় ক্ষতির কারণ হতে বলে আভাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই সবজি নিয়ে আরও ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে। মুগদা বাজারে শীতকালীন সবজি ফুলকপি কিনছিলেন রাশেদ মিয়া। তিনি জানালেন, ছোট্র এই টুকুন সবজি কিনতে হয়েছে ৪০ টাকা দিয়ে। আবার বৃষ্টির কারণে আজ সবজির সরবরাহও তুলনামূলক কম। এ কারণেও সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। ওই বাজারের সবজি বিক্রেতা বাশার জানালেন, বৃষ্টির কারণে সবজিক্ষেতের আরও ক্ষতি হলো। এমনিতেই সবজির দাম বেশি। এর উপর হেমন্তের বৃষ্টি। এই বৃষ্টিতে ক্ষেতেই শীতকালীন সবজি পচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে বেপারীরা সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এদিকে, রাজধানীর বাজারে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ এবং আমদানিকৃত ভারতীয়টি ৫২-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদি সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থা টিসিবি’র তথ্যমতে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ ৫০-৬০ এবং আমদানিকৃতটি ৪৮-৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-২০০ টাকা পর্যন্ত । ব্যবসায়ীরা বলছেন, যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, এ ধারা অব্যহত থাকলে আবার সবজির দাম আরও বাড়তে পারে। প্রতিকেজি টমেটা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। ৮০ টাকা কেজি শিমের দাম বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা। ব্রয়লয়ার মুরগির দাম কমে ১২০-১২৫ টাকায়। গত সপ্তায় এই মুরগি ১২৫-১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া, চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। টিসিবি’র হিসাবে প্রতিকেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৮, মাঝারি মানের চাল ৪৮-৫৫ এবং নাজির ও মিনিকেটের মতো সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৬ টাকায়। প্রতিকেজি আটা প্যাকেট প্রতিকেজি ৩২-৩৪, ডাল জাত ও মানভেদে ৬৫-১৩০, সয়াবিন তেল ৫ লিটারের বোতল ৫১০-৫৩০, রসুন ৭০-১১০, চিনি ৫৪-৫৮ এবং ডিম হালী ২৮-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
×