ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নান্দনিক নগর গড়তে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ॥ শিল্পমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০২:৫৮, ১৯ অক্টোবর ২০১৭

নান্দনিক নগর গড়তে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ॥ শিল্পমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বর্তমান সরকার আধুনিক নগর গড়তে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। নান্দনিক বা স্মার্ট নগর গড়তে নগর কতৃপক্ষের সঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয়ও কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন নগর হতে চামড়া শিল্প, কেমিক্যাল ইন্ড্রাস্ট্রিজ, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানা নগর এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। আধুনিক ও মানসম্পন্ন নগর গড়তে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএসটিআইও ভূমিকা রাখছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিএসটিআই অডিটরিয়ায়ে বিশ্ব মান দিবস-২০১৭ উপলক্ষে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) আয়োজিত ‘নান্দিনিক নগরায়নে মান’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ও এফবিসিসিআই’র সভাপতি মোঃ শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন)। বিএসটিআই’র মহাপরিচালক মোঃ সাইফুল হাসিবের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসটিআই’র পরিচালক (মান)আ,ন,ম, আসাদুজ্জামান। শিল্পমন্ত্রী বলেন, নান্দনিক নগর গড়তে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নগর উন্নয়নে যেসব উপাদান ভূমিকা রাখে তা নিশ্চিত করতে বিএসটিআই’র কর্মকান্ডে আরও গতিশীলতা আনতে হবে। যানজট পৃথিবীর সব দেশে রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সচেতনতার মাধ্যমে তা দূর করা যায়। যানজট নিরসনে সরকার পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার, পায়রা বন্দরসহ বেশকিছু বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের চাপ কমবে এবং যানজট সমস্যা লাঘব হবে। ডিএসসি মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা শহরে বহু মৌলিক সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে আমাদের মনোজগতের পরিবর্তন আনতে হবে। স্মার্টভাবে সবকিছু চিন্তা করতে হবে। তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ৩৬ হাজার এলইডি লাইট স্থাপন করা হয়েছে, যেগুলো মোবাইলের মাধ্যমে চালু, বন্ধ ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তিনি আরও বলেন, যখন মেয়রের দায়িত্ব নিই তখন ৮৫ শতাংশ রাস্তা ছিলো ভাঙাচোরা। এসব রাস্তার সংস্কার করা হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বর্ষায় এসব রাস্তার অনেকগুলোই ফের ভেঙ্গে গেছে। নষ্ট হয়েছে। অচিরেই এগুলো সংস্কার করা হবে। মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা ভালভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারছি না। কারণ জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব ওয়াসার। জলাবদ্ধতা দূর করা গেলে ঢাকা শহরের রাস্তাঘাটসহ অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। এফবিসিসিআই’র সভাপতি শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) বলেন, ব্যবসার প্রসারে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করার কোনো বিকল্প নেই। ব্যবসা-বাণিজ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিনিয়োগকারী এবং আমদানিকারকদের কাছে বাংলাদেশ এখন অনেক নিরাপদ স্থান হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্কীকৃত। সকল ক্ষেত্রে বিএসটিআই’র নজরদারি বৃদ্ধি পাচ্ছে। রফতানি বাণিজ্যের গতি বৃদ্ধি করতে কমন স্ট্যান্ডার্ড (মান) তৈরিতে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সাথে বিএসটিআই কাজ করে যাচ্ছে। বিএসটিআই’র বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক অর্জনের কথা তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মোঃ সাইফুল হাসিব বলেন, বিএসটিআই’র কয়েকটি ল্যাবরেটরি এবং প্রোডাক্টস সার্টিফিকেশন ও ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সার্টিফিকেশন দেশ ও বিদেশের আন্তর্জাতিক সংস্থা হতে এ্যাক্রিডিটেশন লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। বিএসটিআই’র ন্যাশনাল মেট্রোলজি ল্যাবরেটরির ৬টি ল্যাব নরওয়েজিয়ান এ্যাক্রিডিটেশন এবং বাংলাদেশ এ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড থেকে এ্যাক্রিডিটেশন অর্জন করেছে। তিনি বলেন বলেন, এ্যাক্রিডিটেশন অর্জনের ফলে বিদেশে বিএসটিআই’র মানসনদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে রফতানি-বাণিজ্যে বাধা অপসারণের ক্ষেত্রে এ্যাক্রিডিটেড ল্যাবরেটরিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
×