ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ওমানকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে গ্রুপসেরা মালয়েশিয়া

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ১৭ অক্টোবর ২০১৭

ওমানকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে গ্রুপসেরা মালয়েশিয়া

রুমেল খান ॥ সুপার ম্যাচ খেলা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। শুধু বাকি ছিল ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা। মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে সে কাজটাই আয়েশীভাবে করে ফেলল মালয়েশিয়া। এশিয়া কাপ হকির দশম আসরের সোমবার দিনের প্রথম ম্যাচে তারা গোলের বন্যায় ভাসিয়ে দেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানকে। ম্যাচের স্কোরলাইন ছিল ৭-১। দক্ষিণ কোরিয়া এই আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হলেও র‌্যাঙ্কিংয়ে তাদের চেয়ে একধাপ এগিয়ে মালয়েশিয়া (১২, কোরিয়া ১৩)। গত শনিবারের ম্যাচে মালয়েশিয়া ২-১ গোলে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ ‘বি’ থেকে সবার আগে সুপার ফোরে নাম লেখায়। ২ ম্যাচের প্রতিটিতেই জেতায় বি’ গ্রুপের শীর্ষস্থানেই ছিল তারা। সোমবার তাদের লক্ষ্য ছিল ড্র করে বা জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ড্র নয়, প্রতিপক্ষ ওমানকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলায় মেতে উঠে অনায়াসেই জয় কুড়িয়ে নেয় তারা। ৩ ম্যাচের প্রতিটিতেই জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মালয়েশিয়া। পক্ষান্তরে সমান ম্যাচের সবগুলোতেই হেরে ওমানকে এখন খেলতে হবে পঞ্চম থেকে অষ্টম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে। তারা এর আগে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে হারে দক্ষিণ কোরিয়া ৭-২ এবং চীনের কাছে ২-১ গোলে। এছাড়া মালয়েশিয়া এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চীনকে হারিয়েছিল ৭-১ গোলে। মজার ব্যাপারÑ মালয়েশিয়া নিজেদের প্রথম ম্যাচে যে ব্যবধানে জিতেছিল, শেষ গ্রুপ ম্যাচেও সেই একই ব্যবধানে জেতে। ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ভারতের মতো তারাও চলতি টুর্নামেন্টে এখনও কোন ম্যাচে হারের স্বাদ পায়নি তারা। তবে মোট দলীয় গোল করার ক্ষেত্রে ভারতকে টপকে গেছে তারা। ভারত যেখানে করেছে ১৫ গোল, সেখানে মালয়েশিয়ার গোল ১৬। এক নজরে দেখা যাক, সোমবারের ম্যাচে দু’দল কেমন ও কিভাবে খেলে। মালয়েশিয়ার আক্রমণগুলোর দিকে নজর দেয়া যাক। ৭ মিনিটে রহিম রাজি একাই কয়েকজনকে কাটিয়ে হিট করেন। ওমান গোলকিপার ফাহাদ সেভ করেন। ৮ মিনিটে সামসুল হাজিক ফাহাদকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। ১০ মিনিটে পিসি পায় মালয়বাহিনী। মাহরহান থেকে ফয়জাল সারির ফ্লিক গোলকিপার সেভ করেন। ১৬ মিনিটে দ্বিতীয় পিসি থেকে ফয়জাল সারি গোল করে মালয়েশিয়াকে লিড এনে দেন (১-০)। ১৮ মিনিটে ফয়জাল সারির পাস থেকে টেঙ্গু তাজউদ্দিনের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে মালয়েশিয়া (২-০)। ২০ মিনিটে পিসি থেকে শাহরিল সাবা গোল করেন (৩-০)। ২৩ মিনিটে টেঙ্গু তাজউদ্দিন রিভার্স হিটে গোল করেন (৪-০)। ২৭ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে গোল করেন আবারও ফয়জাল সারি (৫-১)। এই গোলের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ৬ গোল করে সারি এককভাবে চলতি আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতায় পরিণত হলেন। টপকে গেলেন ৫ গোল করা ভারতের হারমানপ্রীত সিংকে। ৩৫ মিনিটে চতুর্থ পিসি পায় মালয়েশিয়া। মাজদি রাইসের বল ওমান গোলকিপার সেভ করেন। ৪০ মিনিটে ফের পিসি। আমিরুল আরশাদের কানেক্টে বল আশ্রয় নেয় গোলপোস্টে (৬-১)। ৪২ মিনিটে ষষ্ঠ পিসি থেকে জাজলান নাজমির গোল (৭-১)। ওমানের আক্রমণগুলো হচ্ছে ৫ মিনিটে প্রথম পিসি পায় তারা। রজব বাসিম খাতারের বল ঠেকিয়ে দেন মালয় গোলকিপার কুমার সুব্রামিয়াম। ১১ মিনিটে মারওয়ান রাইসির রিভার্স হিট পোস্টের বাইরে গেলে গোলবঞ্চিত হয় ওমান। ২৪ মিনিটে তৃতীয় পিসি। সালমিন নোফলি ড্রাগ এ্যান্ড ফ্লিকে পরাভূত হন মালয় গোলকিপার (১-৪)। ২৫ মিনিটে পিসি। ইউনিস-মাহমুদ-সালমিনকে ঠেকিয়ে দেন মালয় গোলকিপার। ২৯ মিনিটে সালমিন বিপদ সীমানায় হিট নিতে ব্যর্থ হন। ৩৭ মিনিটে হাসিম ও খালিদের আদান-প্রদানে হিট নিতে ব্যর্থ হন হাসিম। ৪১ মিনিটে বিপদ সীমানায় ঢুকেও গোলকিপারকে পরাস্ত করতে পারেননি রজব বাসিম। ৫৩ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে গিয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন কাসিম শিবলি।
×