ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর রামপুরা-বনশ্রী এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ

প্রকাশিত: ২১:২৭, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

রাজধানীর রামপুরা-বনশ্রী এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ রাজধানীর রামপুরা-বনশ্রী আাবাসিক এলাকায় বাসা-বাড়িতে গ্যাসের সরবরাহ না থাকায় চাপ পড়েছে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার কিনছেন এলাকাবাসী। অনেক দোকানের খাবার শেষ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রবিবার রাত ২টার পর থেকে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত গ্যাসের দেখা মেলেনি। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছেন গৃহবধূরা। অনেক বাসায় আগুন না জ্বলায় রান্নাও হয়নি। পূর্ব নির্দেশনা ছাড়া হঠাৎ করে গ্যাস না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। যে কারণে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। সোমবার দুপুরে বনশ্রীর ডি, ই, এফ, সি, এ ও কে ব্লক এলাকা ঘুরে জানা যায়, গ্যাস না থাকায় অনেকের বাসায় রান্না হয়নি। খাবারের জন্য ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় জমেছে হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোতে। বনশ্রী সি ব্লকের কাবাব ঘরের মালিক নুরুল হুদা জানান, সকাল থেকে মানুষের উপচে পড়া ভিড় এখানে। বাসা-বাড়িতে গ্যাস না থাকায় অধিকাংশরাই খাবার কিনতে আসছেন এখানে। সকাল ১১টার মধ্যে প্রায় সব খাবার শেষ। এখন নতুন করে দুপুরের জন্য কাবাব, কাচ্চি বিরিয়ানি রান্না হচ্ছে। আড্ডা কাবাব ও বিরিয়ানি হাউজের বিক্রেতা ইয়াসিন জানান, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত প্রচণ্ড চাপ ছিল ক্রেতার। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ক্রেতারা পরাটা, রুটি, বিরিয়ানি, ভাত, মাংস ও তরকারি কিনেছেন। অনেকে এখানে বসেই খেয়ে গেছেন। খাবার শেষ। এখন শুধু আছে আলু সিঙ্গারা। এলিনা হাসান নামে এক কলেজ ছাত্রী বলেন, সকালে না খেয়েই প্রাইভেট পড়তে বেড়িয়েছিলাম। বাসা থেকে মা ফোনে জানালেন গ্যাস নেই। তাই খাবার কিনে বাসায় ফিরতে হচ্ছে এখন। ভাত তরকারি না পেয়ে ফিরে যাবার পথে কথা হয় সস্ত্রীক খাবার কিনতে আসা ব্যবসায়ী নুরুল আমিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সকালে ব্রেড-জ্যালি খেয়েছি। দুপুরেও গ্যাস না আসায় খাবার কিনতে আসলাম। কিন্তু হোটেলে খাবার নেই। রান্না হচ্ছে। আরও দেরি হবে। বিরক্ত লাগছে। গ্যাস থাকবে না এমনটি আগে জানলে প্রস্তুতি থাকতো আমাদের। সি ব্লকের বাসিন্দা আফজাল আহমেদ বলেন, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করতে হলে আগে নোটিশ দেয়ার নিয়ম। এলাকায় মাইকিং হয়। কিন্তু গত রাত থেকে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় গ্যাস। এ জন্য পূর্ব কোনো বিজ্ঞপ্তি কিংবা নির্দেশনা আমরা পাইনি। যে কারণে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (পেট্রোবাংলার একটি কোম্পানি) এর ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, গ্যাস ডাউন হবে এমন কোনো পূ্র্ব ঘোষনা কিংবা নোটিশও নেই। ডি ব্লকের ১৫ নম্বর বাসার কেয়ারটেকার রহমত আলী জানান, রাত থেকে গ্যাস নেই। সকালেও গ্যাস না আসায় ফ্ল্যাটের অধিকাংশরাই বাইরে খেয়েছেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিতাস গ্যাস কল সেন্টারের কল এক্সিকিউটিভ প্রবীর দাস বলেন, রাত থেকে আকস্মিক কারণে রামপুরা-বনশ্রী এলাকায় গ্যাসের প্রবাহ বন্ধ রয়েছে। ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করছেন। মতিঝিল জোনের ম্যানেজার এরশাদ মোল্লা জানান, গ্যাস দিতে না পারায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। দুপুর নাগাদ গ্যাসের সরবরাহ আসার জোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে।
×