ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কিরকুকে অভিযানে নেমেছে ইরাকি বাহিনী

প্রকাশিত: ১৮:২৫, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

কিরকুকে অভিযানে নেমেছে ইরাকি বাহিনী

অনলাইন ডেস্ক ॥ ইরাকের কুর্দিস্তানের স্বাধীনতাকে ঘিরে চলছে যুদ্ধের প্রস্তুতি। স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট হওয়ার পর কুর্দিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইরাক। আজ সোমবার ভোরে কুর্দিস্তানের কিরকুকে বিশাল সামরিক বহর নিয়ে অভিযানে নেমেছে ইরাকি বাহিনী। ইরাকি ও কুর্দি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিরকুকের একটি তেলক্ষেত্র ও কৌশলগত সামরিক ঘাঁটির দিকে অগ্রসর হয়েছে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, কুর্দিদের সামরিক বাহিনী পেশমার্গার প্রতিরোধ ছাড়াই কিরকুকের গ্রামাঞ্চলের বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে নিয়েছে সেনারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পেশমার্গার এক কমান্ডারের বরাত দিয়ে কুর্দি নিউজ পোর্টাল রুড-এ বলা হয়েছে, কিরকুকের দক্ষিণে খুরমাতু এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ইরাকি ও কুর্দি বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এর আগে কুর্দিস্তান আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিষদ জানিয়েছিল, ইরাকি বাহিনী ও পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্স (পিএমএফ) বড় ধরনের অভিযানের জন্য তাজা খুরমাতু থেকে আগ্রসর হয়েছে। উল্লেখ্য, ইরানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিয়া মিলিশিয়াদের নিয়ে গড়ে উঠেছে আধাসামরিক বাহিনী পিএমএফ। কুর্দিশ আঞ্চলিক সরকারের প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানির জ্যেষ্ঠ সহরকারী হেমিন হাওরামি এক টুইটে বলেছেন, কোনো ধরনের যুদ্ধ না বাধাতে পেশমার্গাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যদি তাদের ওপর গুলি চালানো হয়, তাহলে তারা যেকোনো ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে। এদিকে, কিরকুক শহরের ভেতরে ও বাইরে থাকা কুর্দি সেনারা হুংকার দিয়েছে, যেকোনো মূল্যে কিরকুক রক্ষা করবে তারা। এ ছাড়া কিরকুকের কুর্দি গভর্নর শহরের বাসিন্দাদের অস্ত্র তুলে নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রত্যেকে বাসিন্দাকে অস্ত্র তুলে নিতে হবে এবং যেকোনো মূল্যে শহরকে রক্ষা করতে হবে। ২০১৪ সালে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামি স্টেটের হামলার মুখে কিরকুক ছেড়ে পালায় ইরাকি বাহিনী। পরে তাদের কাছ থেকে শহরটি উদ্ধার করে কুর্দি বাহিনী। কিন্তু কিরকুকের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে ইরাক ও কুর্দি কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোনো চুক্তি হয়নি। এখানে রয়েছে বিশাল তেলক্ষেত্র। ইরাক থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন দেশ গঠনের উদ্দেশ্যে গত মাসে গণভোট আয়োজন এবং গণভোটে স্বাধীনতার পক্ষে রায় আসায় ইরাকের সঙ্গে কুর্দি কর্তৃপক্ষের উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। ইরাকের পার্লামেন্ট প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদিকে কিরকুকে সেনা পাঠানোর আহ্বান জানায়। ইরাকের এ পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ বলে অভিহিত করেছে কুর্দিরা। এখন সেখানে যুদ্ধের দামামা বাজছে। সূত্র : আলজাজিরা অনলাইন।
×