ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে বিষাক্ত তরল রাসায়নিক পানে মৃত্যু ৩

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ১২ অক্টোবর ২০১৭

রাজশাহীতে বিষাক্ত তরল রাসায়নিক পানে মৃত্যু ৩

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের ডাইংপাড়া চব্বিশনগর গ্রামে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পান করে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় আরও ৮ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুপুরে চিকিৎসাধিন অবস্থায় দুলাল নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে সকালে মৃত দুই শ্রমিক হলেন- গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের চব্বিশনগর ডাইংপাড়া গ্রামের মৃত তোফিজুল ইসলামের ছেলে বকুল হোসেন (৩৮) এবং ইউসুফ আলীর ছেলে তোহিজুল ইসলাম (২৫)। রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার ওসি হিপজুর আলম মুন্সি জানান, চব্বিশনগর ডাইংপাড়া গ্রামের ৮ জন শ্রমিক রাজশাহী মহানগরীর সপুরায় ‘টিম ফার্মা’ নামের একটি ওষুধের কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। মঙ্গলবার তারা ওই কারখানায় কাজে গিয়ে সেখানে একটি ড্রামে থাকা রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে রুটি খান। এ সময় ভালো লাগায় একজন ওই পদার্থটি বোতলে ভরে গ্রামেও নিয়ে যান। এরপর রাতে তিনি গ্রামের আরও চার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে কোমল পানীয়র সঙ্গে মিশিয়ে রাসায়নিকটি পান করেন। বুধবার রাত থেকে তারা একে একে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ভোরে তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাদের লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদের চিকিৎসা চলছে। এরই মধ্যে বেলা আড়াইটার দিকে দুলাল নামের আরেক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। গোদাগাড়ীর রিশিকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম টুলু বলেন, এই ঘটনায় গ্রামের ৮ জন অসুস্থ হয়ে রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিলো। বেলা আড়াইটার দিকে দুলালের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন খবর পেয়ে তিনি সকালেই চব্বিশনগর ডাইংপাড়া গ্রামে যান। সেখান থেকে তিনি একটি বোতল জব্দ করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। গন্ধ শুকে তার কাছে মনে হয়েছে, ওই বোতলে রেকটিফায়েড স্পিরিট ছিল। তবে বিষয়টি নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন গোদাগাড়ীর ওসি হিপজুর আলম মুন্সি। তিনি বলেন, রাসায়নিক পদার্থটি লালিগুড়ের মতো। গুড় ভেবেই তারা সেটি কারখানায় রুটির সঙ্গে মিশিয়ে খেয়েছিলেন। তবে গ্রামে নেয়ার পর তা আবার কোমল পানীয়র সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া হয়। ওই রাসায়নিকটি আসলে কি তা তারা ওষুধের কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করছেন। এছাড়া মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে নিহতদের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
×