ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়েদের সমান অধিকার দেওয়ার পক্ষে ব্যাট ধরলেন সচিন

প্রকাশিত: ১৯:৪৯, ১২ অক্টোবর ২০১৭

মেয়েদের সমান অধিকার দেওয়ার পক্ষে ব্যাট ধরলেন সচিন

অনলাইন ডেস্ক ॥ দেশের মেয়েদের সমান অধিকার দেওয়ার পক্ষে এ বার ব্যাট ধরলেন সচিন তেন্ডুলকার। বুধবার আন্তর্জাতিক শিশুকন্যা দিবসে ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত সচিন কন্যাসন্তানদের ক্ষেত্রে কোনও বৈষম্য না করার আহ্বান জানান তাদের অভিভাবকদের প্রতি। শিশুকন্যাদের স্বপ্নপূরণে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করেন তিনি। নয়াদিল্লিতে এক আলোচনা সভায় এ দিন ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি বলেন, ‘‘অভিভাবকদের তাঁদের কন্যাসন্তানদের পরিবারের সম্পদ মনে করতে হবে। আমি আজ যা কিছু অর্জন করেছি, তাতে আমার অভিভাবকদের ও পরিবারের পূর্ণ সমর্থন ছিল। একই ভাবে সব বাবা-মায়েরা যেন তাঁদের মেয়েদের পাশে দাঁড়ান, তাদের স্বপ্ন পূরণ করার চেষ্টা করেন।’’ মেয়েদের বোঝা মনে করার প্রবল বিরোধী তিনি। বলেন, ‘‘বোঝা মনে করে কম বয়সেই মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা একেবারেই উচিত নয়। পরিবারের ছেলেরা যেমন, মেয়েরাও তেমনই। এ ভাবেই তাদের দেখা উচিত। মেয়েদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে বাবা-মায়েদের।’’ শিশুকন্যাদের সাহায্য করার জন্য সরকারি প্রকল্পেরও প্রশংসা ছিল এ দিন সচিনের মুখে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সরকার যে রকম আর্থিক ভাবে দেশের মেয়েদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, সে ভাবেই তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া উচিত। তাদের অবিভাবকদের আর্থিক চাপ লাঘব করাও প্রয়োজন। তাঁদের অসুবিধার দিকগুলোও ভেবে তাঁদের বোঝানো উচিত, তাঁদের মেয়েদের কেন উন্নতি প্রয়োজন।’’ বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধেও এ দিন সরব হন সচিন। যে ভাবে দুনিয়ার তাবড় পেস বোলারদের শাসন করতেন, সে ভাবেই বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধেও চার-ছক্কা হাঁকান তিনি। বলেন, ‘‘বাল্য বিবাহ ও অন্যান্য সামাজিক চাপ শিশুবিকাশে ব্যাঘ্যাত ঘটায়। তাই বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান এবং আমাদের মেয়েদের দুনিয়াকে আরও সুন্দর করে তুলুন।’’ একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় মহিলা দলের অধিনায়ক মিতালি রাজ। সচিনের বক্তব্যে মুগ্ধ তিনি বলেন, ‘‘ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। প্রতিটি শিশুর খেলাধুলায় আসা উচিত। শিশুদের মানসিক ও শারীরিক ভাবে সুস্থ করে তোলে খেলাধূলা। জীবনের কঠিন সময়ের সঙ্গে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস জোগায়।’’ সূত্র : আনন্দবাজার ডেস্ক
×