ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কেশবপুরে সোলার প্যানেল বিতরণ

প্রকাশিত: ২২:১৯, ১১ অক্টোবর ২০১৭

কেশবপুরে সোলার প্যানেল বিতরণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর ॥ কেশবপুর উপজেলার পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নে গরীব-অসহায় পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপার্শনালয়ে সোলার প্যানেল এবং বিভিন্ন সড়ক ও বাজারে সোলার স্ট্রিক লাইট স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে সরকারের দেয়া সোলার প্যানেল স্থাপনের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ কেশেবপুরে ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুত দেয়ার পাশাপাশি সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে গোটা কেশবপুর এখন আলোতে ঝলমল করছে। কেশবপুরের মানুষ সরকারের এই পদক্ষেপকে উন্নয়ের চলমান ধারার অংশ হিসেবে প্রকাশ করেছেন। কেশবপুরের সংসদ সদস্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের হাত দিয়ে বরাদ্ধকৃত টি আর ও কাবিটা প্রকল্পের মাধ্যমে কেশবপুরে বিদ্যুতের এই উন্নয়নে আমজনতা তাঁকে প্রশংসা করছেন। সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে জানা গেছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এক্সপার্ট ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ইনটেরিয়ার কোম্পানির সোলার সিস্টেম কেশবপুরের বিভিন্ন স্থানে সোলার প্যানেল স্থাপন করেছে। কেশবপুর পৌরসভার ৩৩টি দূস্থ্য পরিবারে, বিভিন্ন সড়কে ও শহরে ১৫টি সোলার স্ট্রিক লাইট স্থাপন করা হয়েছে। কেশবপুর সদর ইউনিয়নের ৪৯টি দূস্থ্য পরিবার, ধর্মীয় উপার্শনালয় ৭টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১টি, সড়কে ১০টি সোলার স্ট্রিক লাইট। ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে দূস্থ্য পরিবারে ৪২টি, ধর্মীয় উপার্শনালয়ে ৮টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১টি, সড়কে ১০টি সোলার স্ট্রিক লাইট স্থাপন করা হয়েছে। সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নে দূস্থ্য পরিবারে ৫৮টি, ধর্মীয় উপার্শনালয় ১১টি, সড়কে ১২টি সোলার স্ট্রিক লাইট স্থাপন করা হয়েছে। মজিদপুর ইউনিয়নে দূস্থ্য পরিবারে ৫৪টি, ধর্মীয় উপাশনালয় ৭টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩টি, সড়কে ১০টি সোলার স্ট্রিক লাইট স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যানন্দকাঠি ইউনিয়নে দূস্থ্য পরিবারে ৪১টি, ধর্মীয় উপাশনালয় ৪টি, সড়কে ১০টি সোলার স্ট্রিক লাইট, মঙ্গলকোট ইউনিয়নে দূস্থ্য পরিবারে ৫২টি, ধর্মীয় উপার্শনালয়ে ৮টি, সড়কে ৮টি সোলার স্ট্রিক লাইট, পাঁজিয়া ইউনিয়নে দূস্থ্য পরিবারে ৪৯টি, ধর্মীয় উপার্শনালয়ে ৭টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩টি, সড়কে ১০টি সোলার স্ট্রিক লাইট, সুফলাকাঠি ইউনিয়নে দূস্থ্য পরিবার ৪৮টি, ধর্মীয় উপার্শনালয়ে ৪টি, সড়কে ১০টি সোলার স্ট্রিক লাইট, গৌরিঘোনা ইউনিয়নে দূস্থ্য পরিবার ৪৭টি, ধর্মীয় উপার্শনালয়ে ৫টি, সড়কে ১২টি সোলার স্ট্রিক লাইট, হাসানপুর ইউনিয়নে দূস্থ্য পরিবারে ৪৪টি, ধর্মীয় উপার্শনালয়ে ৫টি, সড়কে ১০টি সোলার স্ট্রিক লাইট, সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নে দূস্থ্য পরিবার ৪১টি, ধর্মীয় উপার্শনালয়ে ৭টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১টি, সড়কে ১০টি সোলার স্ট্রিক লাইট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলার সেমিনার হলে ১টি, উপজেলার পাবলিক লাইব্রেরিতে ১টি, উপজেলার ভূমি অফিসে ১টি, উপজেলার ক্রীড়া সংস্থায় ১টি, উপজেলা পি আই ও অফিসে ১টি সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের সরকার বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জনাব ইসআত আরা সাদেককে খুব ভালোবাসেন এবং বিশ্বাস করেন। সেকারনে তাকে দিয়ে কেশবপুর পৌরসভাসহ কেশবপুর উপজেলা সোলার প্যানেলের মাধ্যমে আলোকিত করেছেন। মঙ্গলকোট ইউনিয়নের চোয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন বলেন, আমার ইউনিয়নে অনেক দূস্থ্য অসহায় পরিবার প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের দেওয়া সরকারি সোলার প্যানেল পেয়েছে। সে কারনে তারা তাদের ছেলে-মেয়েদের লেখা-পড়া করাতে পারবে। মজিদপুর ইউনিয়নের নজরুল মোল্লার ছেলে রানা মোল্লা বলেন আমার বাড়িতে প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া একটি সৌরবিদ্যুৎ পেয়েছি। যে কারনে আমার পরিবারে ছেলেমেয়েদের লেখা পড়ার সুবিধা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রীর মঙ্গল কামনা করি। তিনি যেন এভাবে নিঃস্বার্থভাবে মানুষের সেবা দিতে পারেন। হাসানপুর ইউনিয়নে হাসেম আলী সরদারের ছেলে মসিরুল ইসলাম বলেন আমার বাড়িতে একটি সৌরবিদ্যুৎ দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক। আমি ওনার মঙ্গল কমনা করি এবং তিনি আগামী নির্বাচনে আবারও নির্বাচিত হয়ে আমাদের সেবা করতে পারেন সেই কামনা করি। সুফালাকাটি ইউনিয়নের পরিতোষ রায়ের ছেলে আনন্দ রায় বলেন আমারা আগে অন্ধকারে বসবাস করতাম। পতিমন্ত্রী আমাকে একটি সৌরবিদ্যুৎ দিয়েছেন। আমার ছেলে মেয়েরা এখন সৌরবিদ্যুতের আলোতে লেখাপড়া করতে পারছে। সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের মৃত বাকের শেখের ছেলে সামাদ শেখ জানান আমার ছেলে আব্দুল কুদ্দুস এবার এস এস সি পরিক্ষার্থী। সৌরবিদ্যুৎ পেয়ে আমার ছেলের লেখাপড়ায় মনোযগী হয়েছে। সে খুব ভালো ফলাফল করতে পারবে হয়তো।
×