ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খুলছে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের শান্তিনগর অংশ

প্রকাশিত: ০০:৪৪, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

খুলছে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের শান্তিনগর অংশ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজারবাগ অংশের। এই অংশের নিচের রাস্তার সংস্কার কাজও এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে। এতে যানজটের তীব্র যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাবে নগরবাসী। ফুটপাত, ড্রেন ও মিডিয়ানের কাজও একই সময়ে সম্পন্ন হবে উল্লেখ করে প্রকল্পের পরিচালক সুশান্ত পাল বলেন, ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী মাসের প্রথমার্ধে এটি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন বলে কথা রয়েছে। তাঁর সম্মতি পেলেই উদ্বোধনের তারিখ চূড়ান্ত হবে। তিনি বলেন, ‘উদ্বোধনের আগেই ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তার সংস্কার কাজ শেষ করতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা সংস্কার কাজ শুরু করেছি। এই কাজ শেষ করতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে।’ ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল বাসসকে বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ফ্লাইওভারের পাশাপাশি এর নিচের অংশের রাস্তা, মিডিয়ান ও লেভেলিংয়ের কাজও নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানেরই করার কথা এবং তা উদ্বোধনের আগেই করতে হবে। আগামী মাসের প্রথমার্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে। এর আগেই সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী নিচের সংস্কার কাজের পুরোটাই নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে করতে হবে। তবে সেখানে ফুটপাত, ড্রেন এগুলোর কাজ আমাদের করতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ, ফ্লাইওভার কর্তৃপক্ষ, এলজিইডি সমন্বয় করে কাজগুলো করছে। ফ্লাইওভারের নিচের অংশের রাস্তা ও ড্রেন সংস্কার কাজ শেষ হলে শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক এলাকার জলাবদ্ধতারও সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শুরুর পর এর নিচের অংশে যত্রতত্র নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখার কারণে এটি নগরবাসীর ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ফ্লাইওভারের নিচের সংস্কার কাজ শেষ হলে এবং এটি আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধনের পর যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দিলে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মানুষের যানজট নামক যন্ত্রণার অবসান হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ২১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকার অর্থায়ন করেছে ৪৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) দিয়েছে ৭৭৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। চার লেনের এ ফ্লাইওভারে ওঠানামার জন্য ১৫টি র্যাম্প রয়েছে। তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, এফডিসি, মগবাজার, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, বাংলামটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইন এবং শান্তিনগর মোড়ে ওঠানামা করার ব্যবস্থা রয়েছে। এটি রিখটার স্কেলে ১০ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় বলে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে। প্রতিটি পিলার পাইলের গভীরতা প্রায় ৪০ মিটার গভীর। ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৯ কিলোমিটার লম্বা ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ফ্লাইওভারটির কাজ তিন ভাগে করা হয়েছে। গত বছরের ৩০ মার্চ সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল অংশে যান চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ফ্লাইওভারের ইস্কাটন-মৌচাক অংশের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তৃতীয় ধাপে এফডিসি মোড় থেকে সোনারগাঁও হোটেলের দিকের অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় এ বছর ১৭ মে। এখন খুলে দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছে ফ্লাইওভারের মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজারবাগ অংশ। সূত্র:বাসস
×