ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া, মেতেছে তাণ্ডবে;###;সুচির মিথ্যাচারে বিশ্বজুড়ে বিস্ময়

এখনও জ্বলছে রাখাইন ॥ রোহিঙ্গা শরণার্থী ॥ ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম শুরু সেনাবাহিনীর

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

এখনও জ্বলছে রাখাইন ॥ রোহিঙ্গা শরণার্থী ॥ ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম শুরু সেনাবাহিনীর

মোয়াজ্জেমুল হক/এইচএম এরশাদ ॥ এখনও জ্বলছে রাখাইন রাজ্য। বিক্ষিপ্তভাবে হত্যা করা হচ্ছে অসহায় রোহিঙ্গাদের। আর নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে রোহিঙ্গা নর-নারী ও শিশুদের সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশও অব্যাহত রয়েছে। এ রাজ্যের বন্দর শহর সিটওয়ের উত্তরে রোহিঙ্গা বসতিগুলোতে সশস্ত্র রাখাইন সন্ত্রাসীরা এখন সেনা সদস্যদের চেয়েও বেশি তা-বে মেতে উঠেছে। শনিবার পর্যন্ত গত ২৯ দিনে রোহিঙ্গাদের একের পর এক গ্রাম, পাড়া ও বসতি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়া হয়েছে। মৃতের সংখ্যা এ পর্যন্ত ঠিক কত তা সঠিকভাবে নির্ণয় করা না গেলেও সীমান্তের ওপারের বিভিন্ন সূত্রের মতে, এ সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আর বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ছয় লাখে পৌঁছেছে। এ পরিসংখ্যান বেসরকারী। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষেও তথ্য দেয়া হয়েছে, সঙ্কটকবলিত রাখাইন রাজ্যের মুসলিম রোহিঙ্গাদের বসতিতে শুক্রবার রাতে এবং শনিবার সকালেও আগুন দেয়া হয়েছে। এ সংস্থার পক্ষ থেকে একাধিক ভিডিওচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বসতিগুলোয় আগুনের কু-লী দেখা গেছে। মিয়ানমারের সেনা তা-বের পর এখন রাখাইন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আরও একধাপ বেপরোয়া হয়ে রোহিঙ্গাদের নিধনযজ্ঞে নেমেছে বলেই প্রতীয়মান। এদিকে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, আন্তর্জাতিক ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে মিয়ানমার সরকার কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ফিরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া যে কোন মুহূর্তে শুরু হতে পারে বলে ইতোমধ্যে এনএলডি নেত্রী আউং সান সুচি আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তবে আউং সান সুচি এখনও রোহিঙ্গা বিষয়ে মিথ্যাচারের নির্লজ্জ অবস্থানেই রয়েছেন। তিনি এখনও বলছেন, গত ৫ সেপ্টেম্বরের পর রাখাইন রাজ্যে কোন সেনা অভিযান হয়নি। অথচ গত ২২ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শুক্র ও শনিবারও সিটওয়ের বিভিন্ন রোহিঙ্গা গ্রামের রোহিঙ্গা বসতিগুলো রাখাইন সন্ত্রাসীরা আগুন দিয়ে ছারখার করে দিয়েছে। অপরদিকে, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন ও ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমে সেনা সদস্যরা শনিবার থেকে পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু করেছেন। সরকার ইতোমধ্যে উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য যে দুই হাজার একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে সেখানে সেনাবাহিনীর পক্ষে প্রথম পর্যায়ে ১৪ হাজার শেড নির্মাণ করবেন সেনা সদস্যরা। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে সেনাবাহিনী এ কার্যক্রম চালাবে। একদিকে সুচির মিথ্যাচার, অপরদিকে আগুন ও রোহিঙ্গা নিধন ॥ রোহিঙ্গা ইস্যুতে পুরো বিশ্ব যখন সোচ্চার তখনই মিয়ানমারের এনএলডি নেত্রী আউং সান সুচি চরম মিথ্যাচারের বেসাতিতে লিপ্ত রয়েছেন। সেখানকার সেনা ও রাখাইন সন্ত্রাসীরা একের পর এক এখনও রোহিঙ্গা বসতিতে আগুন দিচ্ছে আর নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। সারাবিশ্ব যখন অবাক বিস্ময়ে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বর্বরতম এসব ঘটনা প্রত্যক্ষ করছে তখন মিয়ানমার সরকার নির্লজ্জভাবে তা অস্বীকার করে যাচ্ছে। গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক গণআদালতের রায়ে এনএলডি নেত্রী সুচি ও সে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং লাইংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণে সারাবিশ্বের সামনে যথাযথভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা তুলে ধরেছেন। খোদ জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এ পর্যন্ত কয়েক দফায় রোহিঙ্গা নিধন বন্ধ করতে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন। শুধু তাই নয়, বিশ্বের গুটিকয়েক দেশ বাদে এমন কোন দেশ নেই যারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মুখ খোলেনি। এসব দেশ নিজেদের উদ্যোগে তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পাওয়ার পর রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সরকারকে সহিংসতার পথ পরিহারের অনুরোধ জানিয়েছে। এর পাশাপাশি আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেছে। কিন্তু মিয়ানমারের সরকার তাদের লেলিয়ে দেয়া সেনা সদস্য ও রাখাইন সন্ত্রাসীদের রোহিঙ্গা নিধনে মদদ দিয়েই চলেছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, গণতন্ত্রমনা ও নোবেল বিজয়ী এনএলডি নেত্রী আউং সান সুচি সারাবিশ্বের এত আবেদন, অনুনয়-বিনয় কোনকিছুই আমলে আনছেন না। তবে ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে এখন পূর্বের অবস্থান থেকে সরে আসার বিষয়টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর ॥ বুচিদং শহরতলীর উত্তর-পূর্বে দুটি রোহিঙ্গা গ্রামে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। শুক্রবার ভরদুপুর থেকে রাত পর্যন্ত নারাইংশং ও মিনগিছি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওপারের সূত্রগুলো জানিয়েছে, বুচিদং শহরতলীর তংবাজারের নিকটবর্তী গ্রাম নারাইংশং ও মিনগিছিতে শুক্রবার দুপুর দেড়টা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত সময়জুড়ে সেনা সদস্য ও রাখাইন সন্ত্রাসীরা তা-ব চালিয়েছে। রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়া হচ্ছে। পালিয়ে যাওয়ার পথে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে গুলি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কত রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছে তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সেনা নির্যাতন ও রাখাইন সন্ত্রাসীদের তা-বে ওই সব এলাকার অধিকাংশ রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে। সীমান্ত পেরিয়ে চলে এসেছে টেকনাফ হয়ে উখিয়া পর্যন্ত। এক মাওলানাকে জিম্মি ॥ বুচিদংয়ের দংবাজার এলাকায় ছোটপীর হিসেবে খ্যাত মাওলানা কুতুব উদ্দিনকে সেনা সদস্যরা জিম্মি করে তাকে মিয়ানমার সরকারের পক্ষে বক্তব্য দিতে বাধ্য করেছে। অনেকটা অস্ত্রের মুখে এই পীরকে বলতে বাধ্য করা হয়েছে, ‘বাঙালী সন্ত্রাসীরা আগুন দিয়ে রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ছড়িয়েছে।’ এর আগের দিন মিয়ানমার সেনাপ্রধান মিন অং লাইং রাখাইন রাজ্যে সফরে এসেছিলেন। তিনি সেখানে একটি বৈঠকে বক্তব্যও দিয়েছেন। তার চলে যাওয়ার পর নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আরও বহু রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য সেনা কার্যক্রম শুরু ॥ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ও বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তা ও আশ্রয় শিবির নির্মাণে গত দুদিন বিভিন্নভাবে রেকি করার পর শনিবার থেকে সেনা সদস্যরা পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু করেছেন। উখিয়ার কুতুপালংয়ে সরকারের বরাদ্দকৃত দুই হাজার এক জমিতে আশ্রয় শিবির নির্মাণ ও রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছেন সেনা সদস্যরা। রামুর ১০ পদাতিক ডিভিশনের পক্ষে শনিবার দুপুরে ৩৬ বীর, ২৪ ও ৬৩ বেঙ্গল নামে তিনটি সেনা টিম রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে বড় আশ্রয়স্থল উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালীতে অবস্থান গ্রহণ করেছে। সেনা তৎপরতায় অংশগ্রহণকারী ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মুহাম্মদ রাশেদ আকতার জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেনা সদস্যরা প্রথমে সার্বিক কার্যক্রমে রোহিঙ্গাদের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে। এর পাশাপাশি ত্রাণ সহায়তা ও তাদের জন্য আশ্রয় শিবির নির্মাণ কার্যক্রমও চলবে। কাজের সুবিধার্থে উখিয়া ডিগ্রী কলেজের একটি কক্ষকে কোম্পানির কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে উল্লেখ করে এ সেনা কমান্ডার আরও জানান, শনিবার প্রথম দিনে রোহিঙ্গাদের মাঝে শৃঙ্খলা আনয়নের কাজ শুরু করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সেনাপ্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। ২২ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় রোহিঙ্গাদের মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে ২২ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে ১২টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য, আশ্রয়স্থল নির্মাণ, সড়ক সংস্কার, স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ পানি ও পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ ইত্যাদি এসব কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রোহিঙ্গাদের মাঝে শৃঙ্খলা আনয়নে উখিয়া-টেকনাফে ১২টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব চিহ্নিত পয়েন্টে সারাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণসামগ্রী গ্রহণ করা হবে। শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত ॥ রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে এসে এখানে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের চাপে ভারি হয়ে উঠেছে উখিয়া ও টেকনাফের সার্বিক পরিস্থিতি। আইনশৃঙ্খলাসহ সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এটি বিরাট চাপ হিসেবে দেখা দিয়েছে। কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালী তাজনিমারখোলা, পালংখালী বাঘঘোনা, লেদা, নয়াপাড়া মুছুনি, শামলাপুর, ঘুমধুম ও তমব্রু সীমান্তসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে অন্তত পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। উখিয়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকতার আহমদ জানিয়েছেন, রাজাপালংয়ে একটি এবং পালংখালীতে চারটিসহ মোট পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রোহিঙ্গার সমস্যায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। তবে এ পর্যন্ত কোন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়নি। উখিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল করিম জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা আগমনের কারণে কলেজে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতির হার কমে গেছে। এছাড়া কলেজ ভবনে বিজিবির অস্থায়ী ক্যাম্প হওয়ায় একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষাও চলছে। রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচর নেয়ার কার্যক্রম শুরু ॥ নোয়াখালীর হাতিয়ার ঠেঙ্গারচরে রোহিঙ্গাদের জন্য আবাস গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার। ১০ হাজার একরের ওই জায়গায় ভূমি উন্নয়ন ও যাতায়াতের জন্য রাস্তা নির্মাণের কাজ করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ঠেঙ্গারচর সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত হলে একসঙ্গে আট থেকে ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে সেখানে পুনর্বাসিত করা যাবে বলে জানা গেছে। মিয়ানমারের দুই সাংবাদিক জামিনে মুক্ত ॥ পরিচয় গোপন করে সীমান্তে ছবি তোলা, বাংলাদেশের সরকারী কর্মকর্তাদের কাছে মিথ্যা তথ্য দেয়া ও রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য সংগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত মিয়ানমারের দুই সাংবাদিক জামিনে মুক্ত হয়েছেন। শুক্রবার তারা কারাগার থেকে মুক্তি পান। গত ১৩ সেপ্টেম্বর মিনজাইয়ার ও এবং হকুন লাট নামে মিয়ানমারের ওই দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়। মিনজাইয়ার ও এবং হকুন লাট জার্মানির হামবুর্গভিত্তিক ম্যাগাজিন ‘জিও’-তে কাজ করেন বলে জানা গেছে। রোহিঙ্গাদের জন্য ২৪শ’ ল্যাট্রিন ও নলকূপ স্থাপন হচ্ছে ॥ বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য ১২শ’ স্যানিটারি ল্যাট্রিন ও ১২শ’ নলকূপ স্থাপন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী হোসেন। গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফিংকালে জেলা প্রশাসক এ তথ্য দিয়েছেন। ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, গত ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত সরকারী হিসাবে চার লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ৫১১৯ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে প্রেরণ ॥ কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যত্রতত্র ছড়িয়ে পড়ার তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। এ তৎপরতা রোধে গত পাঁচ দিনে ১১টি চেকপোস্টে পাঁচ হাজার ১১৯ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে বালুখালী ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে। চিটাগাং চেম্বারের ত্রাণ ॥ চিটাগাং চেম্বার অব কমার্সের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণসামগ্রী প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শনিবার চেম্বারের সেক্রেটারি প্রকৌশলী মোঃ ফারুক জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে বিতরণের জন্য চাল, চিড়া, চিনি, আলু, মটর ডাল, ওরস্যালাইন ও কম্বল নেয়া হবে।
×