ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গী নেতা মেহেদী হাসানের পৈত্রিক বাড়ি বাউফল হলেও এখানে তারা কেউ থাকেন না

প্রকাশিত: ০২:১৭, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

জঙ্গী নেতা মেহেদী হাসানের পৈত্রিক বাড়ি বাউফল হলেও এখানে তারা কেউ থাকেন না

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল ॥ ঢাকার বনশ্রী থেকে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃত সেই জঙ্গী নেতা ও র‌্যাম্প মডেল ইমাম মেহেদী হাসান ওরফে জিব্রিলের পৈত্রিক বাড়ি বাউফলের কালিশুরী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে হলেও এখানে তারা কেউ থাকেননা। গ্রামের বাড়িতে শুধু তার ছোট চাচা ও পরিবারের সদস্য থাকেন। ৭ বছর ধরে তারা ঢাকায় বসবাস করছেন। মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে আসতেন। শুক্রবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, একটি টিনসেট ঘরে ওই জঙ্গী নেতার ছোট চাচা ফজলুল হক হাওলাদারের পরিবারের লোকজন বসবাস করছেন। ফজলুল হক বর্তমানে হজ্ব করতে গিয়ে সৌদি আরব অবস্থান করছেন। রাজাপুর গ্রামের মেম্বর স্বপন জানান, জঙ্গী নেতা মেহেদী হাসানের বাবার নাম খোরর্শেদ আলম। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার। ২ ভাই ৪ বোন তারা। ভাইদের মধ্যে মেহেদী হাসান বড়। ১৯৮৮ সালে ৭ আগস্ট গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানায় তার জন্ম। তার বাবা ওই সময় সেই থানায় কনস্টেবল পদে চাকরী করতেন। সর্ব শেষ তার বাবা বরিশালের একটি থানা থেকে এএসআই পদে থেকে অবসরে যান। বরিশাল থেকে ৭ বছর আগে তারা ঢাকায় চলে যান । বৃহস্পতিবার ঢাকার বনশ্রী থেকে র‌্যাবের হাতে মেহেদী হাসান গ্রেফতার হওয়ার পর তার জঙ্গী হওয়ার ঘটনাটি এলাকাবাসী জানতে পারেন। গ্রামের লোকজন জানান, মেহেদী বছরে দু একবার বাবা-মায়ের সাথে বেড়াতে গ্রামের বাড়িতে আসতেন। সর্ব শেষ বছর খানেক আগে তিনি গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। তবে তিনি গ্রামের কোন স্কুলে পড়াশুনা করেননি। তার বাবা চাকরীর সুবাধে তিনি বিভিন্ন কর্মস্থলে তিনি পড়াশুনা করেছেন। বাউফল থানার ওসি আযম খান ফারুকী বলেন, মেহেদী হাসান গ্রেফতারের পর খোজঁখবর নেয়ার জন্য আমি বাউফল থানার এসআই সাইদকে তার গ্রামের বাড়ি পাঠাই। সেখানে তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। তার ছোট চাচা ফজলুল হকের পরিবার পরিজন থাকেন। ফজলুল হক হজ্ব করতে গিয়ে সৌদি আরব অবস্থান করছেন। তার চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে এসআই সাইদ মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে জঙ্গী নেতা মেহেদী হাসানের ভাই অলিউল্লাহ ওরফে মিলনের সাথে কথা বলেছেন। তিনি পুলিশ অফিসারকে জানান, গত ৪ মে থেকে মেহেদী হাসান নিখোঁজ থাকায় তিনি খিলগাও থানায় একটি জিডি করেছেন( যার নম্বর ২৬৪ তারিখ ৫/৫/১৭) এরপর থেকে পরিবারের সাথে তার কোন যোগাযোগ হয়নি। গ্রেফতারের পর জঙ্গী সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি তারা জানতে পেরেছেন। এদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, জঙ্গী নেতা মেহেদী হাসানের বাইরেও আবু জাফর , জোবায়ের হোসেন শাহিন ও ইসরাত জাহান মৌ নামের আরও তিন জঙ্গীর বাড়ি বাউফলে । এদের মধ্যে জোবায়ারে হোসেন শাহিন ও ইসরাত জাহান মৌ বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। আবু জাফর জামিনে এসে পলাতক রয়েছেন। এই তিন জঙ্গীর বাড়ি যথাক্রমে বাউফলের নুরাইনপুর, নারায়নপাশা ও বিলবিলাস গ্রামে। জঙ্গী নেতা আবু জাফরের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে (মামলা নং ৯ তারিখ১১/১২/১৫ ও জোবায়ের হোসেন শাহিনের বিরুদ্ধে দিনাজপুর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে আইনে দুইটি মামলা রয়েছে(যার নম্বর ২২ তারিখ ১১/১২/১৫ ও ২৩ তারিখ ১১/১২/১৫) এসব জঙ্গীদের বাড়ি বাউফলে হওয়ায় এলাকার মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পরেছেন।
×