ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে যানজটমুক্ত রাখতে সওজের উচ্ছেদ অভিযান

প্রকাশিত: ০২:২৭, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে যানজটমুক্ত রাখতে সওজের উচ্ছেদ অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানজটমুক্ত রাখতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে সওজ কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। উচ্ছেদ অভিযানে ফুটপাত থেকে প্রায় চার শতাধিক অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা উচ্ছেদ সওজের ভেকু ও বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, কাঁচপুর মোড়ে ফুটপাতে দোকানপাট বসিয়ে একটি প্রভাবশালী মহল প্রতিমাসে বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায় করছে। এ কারণেই বার বার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও উচ্ছেদ অভিযানের পরদিনই আবারও দোকানপাট বসিয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়। জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টায় শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উভয় পাশে গড়ে উঠা পান সিগারেট দোকান, মুদি, স্টেশনারী, ফলের দোকান, ফোন ও ফ্যাক্সিলোডের দোকান, হোটেল ও কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা সওজের বুলডোজার ও ভেকু দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এতে করে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে হকারদের দখলকৃত লেনটি এখন যানচলাচলের উপযোগী হয়ে উঠেছে। উচ্ছেদে অভিযানের নেতৃত্ব দেন সওজের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট (এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা) মোঃ মাহবুবুর রহমান ফারুকী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ ইমরান ফারহান সুমেল, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সোহেল মাহমুদ ও পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার লোকজন। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, একটি প্রভাবশালী মহল কাঁচপুরে অবৈধ দোকানপাট ও নানান ধরণের স্থাপনা বসিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারা আরও জানান, কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বহু বার সওজ কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানের পরদিনই আবারও প্রভাবশালী মহল দোকানপাট ও স্থাপনা নির্মাণ করে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আনেন। এতে করে কাঁচপুর এলাকায় স্থায়ীভাবে কখনই যানজট নিরসন করা সম্ভব হয় না। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলী হোসেন ও কামাল মিয়া জানান, উচ্ছেদের পর আবারো দোকান বসাতে হলে স্থানীয় চাদাঁবাজদের মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে আমাদের দোকানপাট বসাতে হবে। আরেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী করিম হোসেন জানান, যতবার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে ততবারই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পুলিশকে টাকা দেয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে অগ্রীম বাবদ টাকা নেয়া হয়েছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরের নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ ইমরান ফারহান সুমেল জানান, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযানে ৩-৪ শতাধিক অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। কাঁচপুরের যানজটমুক্ত রাখতে ও নির্মাণাধীন দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর জন্য রাস্তা নির্মাণ ও রাস্তা চওড়া করার জন্য এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরের নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আলীউল হোসেন জানান, মূলত যানজট ও দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উন্নয়ন কাজের জন্য এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। রাস্তার লেন তৈরি করা হয়ে গেলে আর অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা কেউ বসাতে পারবে না।
×