ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা সহ্য করা যায় না’

প্রকাশিত: ০২:৪৪, ২১ আগস্ট ২০১৭

‘পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা সহ্য করা যায় না’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবকিছু সহ্য করা যায়, কিন্তু পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা সহ্য করা যায় না। করব না। আমি জনগণের কাছে এর বিচারের ভার দিলাম। জনগণই এর বিচার করবে। আজ সোমবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ২১ গ্রেনেড হামলা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। এসময় তিনি সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেয়া রায় ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদ নিয়ে কথা বলার আগে প্রধান বিচারপতিকে তার পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, আমার বাবা এ দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। আমরা এর ফল ভোগ করছি। স্বাধীনতা ভালো, কিন্তু এটি বালকের জন্য নয়। শেখ হাসিনা বলেন, জীবন দেওয়ার মালিক আল্লাহ, জীবন বাঁচানোর মালিকও আল্লাহ। সুতরাং আমি কারও কাছে মাথানত করব না একমাত্র আল্লাহ ছাড়া। সভায় ২১ আগস্টের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে এ বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ হামলার লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে নির্মূল করা। এ হামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর ২৪ জন নেতা-কর্মী নিহত এবং ৫শ’ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে অনেকে চিরকালের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছে। অল্পের জন্য শেখ হাসিনা সেদিন বেঁচে গেলেও সমাবেশ স্থলে ট্রাকের কাছে গ্রেনেড বিস্ফোরণে তাঁর কানের শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সামনে অস্থায়ী স্মৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে ২১ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের সিনিয়র নেতা এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমন্ডলির সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি আলহাজ নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জেএসডি’র কার্যকরী সভাপতি মইনুদ্দিন খান বাদল, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়–য়া, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং বিশিষ্ট লেখক ইমদাদুল হক মিলনও বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
×