ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আন্টার্কটিকায় বরফের তলায় ৯১ টি আগ্নেয়গিরি সন্ধান

প্রকাশিত: ২০:৪৫, ১৯ আগস্ট ২০১৭

আন্টার্কটিকায় বরফের তলায় ৯১ টি আগ্নেয়গিরি সন্ধান

অনলাইন ডেস্ক ॥ ‘ছাই চাপা আগুন’— প্রবচনটা শুনেছেন! আর এ বার বিজ্ঞানীরা শোনালেন বরফ চাপা ‘আগুন’-এর কথা। সম্প্রতি বরফের নীচে এক সঙ্গে ৯১টি আগ্নেয়গিরির সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। অকুস্থল পশ্চিম আন্টার্কটিকা। গবেষকদের মতে, এ গুলি তুলনামূলক ভাবে নতুন এবং কোনও দিনই দিনের আলো দেখেনি। তাঁদের শঙ্কা, এগুলিতে অগ্ন্যুৎপাত হলে বরফ স্তরে ধস নামতে পারে। যার জেরে বাড়তে পারে জলস্তর। ফলে পৃথিবীর একটা বড় অংশ জলের তলায় যেতে পারে। তবে, কিছুটা আশার আলোও পাওয়া গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে আগ্নেয়গিরিগুলি সুপ্ত অবস্থাতে রয়েছে। এই মুহূর্তে এগুলির জেগে ওঠার সম্ভাবনা খুবই কম। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলটির প্রধান ম্যাক্স ভ্যান সতর্ক করে বলেছেন, ‘‘উষ্ণায়ণের জেরে বরফ গলতে শুরু করলে অগ্ন্যুৎপাত এড়ানো কঠিন হয়ে যাবে।’’ আগ্নেয়গিরিগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড়টির উচ্চতা প্রায় ৪০০০ মিটার। যা উচ্চতায় সুইজারল্যান্ডের ইগার আগ্নেয়গিরির সমান। নতুন আবিষ্কৃত এই আগ্নেয় পার্বত্য অঞ্চলে ১০০ থেকে ৩৮৫০ মিটারে পাহাড়ের সন্ধান মিলেছে। ম্যাক্স ভ্যানের কথায়, ‘‘আগ্নেয়গিরিগুলির সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০-৪০০০ মিটার পর্যন্ত। সবগুলিই বরফে ঢাকা। ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত পুরু বরফের নীচে ঢাকা রয়েছে আগ্নেয়গিরিগুলি।’’ গবেষকদের ধারণা, রস আইসশেলফের নীচে বরফ ঢাকা ওই অঞ্চলে আরও বহু আগ্নেয়গিরি রয়েছে। সুতরাং, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি অঞ্চল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, বরফের পুরু চাদরে চাপা থাকায় আগ্নেয়গিরিগুলির ‘প্রাকৃতিক ভারসাম্য’ বজায় রয়েছে। নতুন করে বরফও তৈরি হচ্ছে দক্ষিণ মেরুতে— এটাই স্বস্তির খবর। এত দিন পূর্ব আফ্রিকার আগ্নেয় পর্বতমালায় সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়গিরি রয়েছে বলে মনে করা হত। কিন্তু ভূতত্ত্ববিদরা মনে করছেন, সংখ্যার দিক থেকে ওই অঞ্চলকেও ছাপিয়ে যাবে পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার এই অঞ্চল। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×