ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অদ্ভুত কুসংস্কার তারকা খেলোয়াড়দের

প্রকাশিত: ১৯:৪১, ১৭ জুলাই ২০১৭

অদ্ভুত কুসংস্কার  তারকা খেলোয়াড়দের

অনলাইন ডেস্ক ॥ উইম্বলডনে যারা টেনিস খেলতে আসেন তাদের প্রায় সবার মধ্যেই কম বেশি কুসংস্কার রয়েছে। তারা মনে করেন, সেসব পালন করলে তারা হয়তো খেলায় জিততে পারবেন। টেনিস খেলার সময় মাঠে যেসব বল বয় বা বল গার্ল থাকেন, টেনিস খেলোয়াড়দের এমন কিছু কুসংস্কারের কথা তুলে ধরেছেন তারা। অবশ্য এসব বিশ্বাস যে শুধু টেনিস খেলোয়াড়দের মধ্যেই আছে তা নয়, প্রায় সব খেলাতেই এই প্রবণতা চোখে পড়ে। ক্রীড়া জগতের এরকম কিছু তারকার মধ্যে এসব বিশ্বাস খুবই তীব্র।এখানে এরকম কিছু কুসংস্কার বা বিশ্বাসের কথা তুলে ধরা হলো। রাফায়েল নাদাল খেলা শুরুর আগে, এমনকি খেলা চলাকালেও টেনিস তারকা রাফায়েল নাদাল কিছু রুটিন নিয়মিত মেনে চলেন। এগুলোর জন্যে তিনি সুপরিচিত। তার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে-প্রত্যেকটি সার্ভের আগে নিচ দিয়ে তিনি তার শর্টস টেনে ধরেন, টি শার্টের কাঁধ টেনে ঠিক করেন এবং তারপর মুখ মুছেন। তবে এসব করেও সব সময় যে নাদাল ম্যাচ জিততে পারেন তেমনটা নয়। এ বছর উইম্বলডনে এসব করেও রাফায়েল নাদালের খুব বেশি লাভ হয়নি। কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই তিনি টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছেন। সেরেনা উইলিয়ামস ২০১৬ সালের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন সেরেনা উইলিয়ামসও তার কিছু কুসংস্কারের জন্যে বিখ্যাত। তিনি বিশ্বাস করেন তার কিছু মোজা আছে যেগুলো তার জন্যে সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসে। সেই জোড়া মোজা পরেই খেলতে নামেন সেরেনা। শুনলে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে যে সেরেনা উইলিয়ামস টুর্নামেন্ট শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই মোজা ধুতেন না। এমনকি নতুন মোজাও পরেন না। এবারে উইম্বলডনে এটা তার জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনতো কিনা এর উত্তর অবশ্য মেলানো যায়নি।কারণ,সন্তানসম্ভবা হওয়ায় এবারের টুর্নামেন্টে তিনি খেলতে পারেন নি। নোভাক জোকোভিচ নোভাক জোকোভিচের কুসংস্কার হলো প্রত্যেক সার্ভের আগে বলকে বারবার বাউন্স করা। এটা এক সময়ে তার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। কখনো কখনো তিনি বল ৩০ বারেরও বেশি বাউন্স করেছেন, এমন নজিরও আছে। কেনো তিনি এ রকম করেন এই প্রশ্নের জবাবে নোভাক জোকোভিচ বলেছেন, ‘আমি কাউকে বিরক্ত করতে চাই না। খেলায় মনোযোগ বাড়াতেই এই কাজটা করি।’ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ইংলিশফুটবলার ওয়েন রুনি তার একটি বইয়ে লিখেছিলেন, ‘ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো যখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলতেন তখন তারও এরকম কিছু বিশ্বাস ছিল। তার একটি হলো-ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে আয়নায় নিজের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকা।এর কারণ এও হতে পারে যে তিনি হয়তো আয়নায় নিজের দিকে তাকিয়ে খেলার জন্যে নিজেকে কিছু বলতেন বা প্রস্তুত করতেন।’ মাইকেল ফেল্পস যুক্তরাষ্ট্রে সাঁতার তারকা মাইকেল ফেল্পসের মতো আর কেউ অলিম্পিকে এত বেশি সোনা জিতে নি। তিনি জয় করেছেন ২৩টি স্বর্ণ পদক। এই তারকা সাঁতারুও অদ্ভুত কিছু কুসংস্কারে আক্রান্ত। কোনো প্রতিযোগিতায় পুলে নামার আগে তিনি এর পাশে পায়চারি করেন এবং এ সময় তিনি হেডফোনে মাইকেল জ্যাকসনের গান শোনেন। এরপর তিনি কান থেকে হেডফোন খুলে ফেলেন এবং সেটা হাতের চারপাশে তিনবার ঘোরান। দু'বার নয়, চারবার নয়। তিন তিনবার। সবসময়। অনেকে মনে করেন, এটাই হয়তো তার সাফল্যের গোপন রহস্য! বিবিসি বাংলার সৌজন্যে
×