নিজস্ব সংবাদদাতা,হবিগঞ্জ ॥ জমি সংক্রান্ত সৃষ্ট বিরোধ নিয়ে হবিগঞ্জের উপজেলা বানিয়াচঙ্গের পল্লী সাউথপাড়ায় চাচার নের্তৃত্বাধীন এক সন্ত্রাসী হামলায় মার্জিয়া (১০) নামে পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় মার্জিয়ার বাবা মোতালিম মিয়া ও মা ফাতেমা খাতুনও গুরুতর আহত হন। তন্মধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মোতালিম মিয়া মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েছেন।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন যাবত সম্পত্তির একটি অংশ নিয়ে মোতালিম ও তার ভাই ভূমি খেকো মোতাব্বির মিয়ার বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গতকাল রাত সাড়ে ১০ টার দিকে দুই ভাই তর্কযুদ্ধ লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে মোতাব্বির আগে থেকেই তার সাথে রাখা দুদু ও মতিনের নের্তৃত্বে একদল সশস্ত্র ব্যক্তিকে নিয়ে ভাই মোতালিম সহ তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালায়।
অভিযোগ উঠে, এসময় নাকি মোতাব্বির নিজেই তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে শিশু মার্জিয়ার মাথায় সজেরো আঘাত করলে সে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। একই সময় মার্জিয়ার বাবা-মাকেও সন্ত্রাসীরা বেদম মারপিট করলে তারও গুরুতর আহত হন। তখন অবস্থা বেগতিক দেখে মোতাব্বির ও তার লোকজন সটকে পড়েন। এদিকে ঘটনা আঁচ করতে পেরে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এসে মার্জিয়া ও তার বাবাকে রাতেই নিয়ে যায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার মার্জিয়াকে মৃত ঘোষনা করেন। অপর গুরুতর আহত মা ফাতেমাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, মোতাব্বির ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা গ্রামে প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত। তারা কখনই সামাজিক বিচার মানাতো দুরের কথা বরং পেশীশক্তির বলে মোতালিমের পৈত্রিক ভিটে দখল করে বির্ল্ডিং নির্মাণ করেই শুধু ক্ষান্ত হচ্ছেনা সরকারী খাল দখল করে তিন তলা বিশিষ্ট ইমারত নির্মানেরও অভিযোগ উঠেছে। তারা সংশ্লিস্ট এলাকায় ভূমি খেকো হিসেবে পরিচিত। পুলিশ বলছে, ওই ঘটনার পর থেকে মোতাব্বির ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে।