ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

লিয়াকত হোসেন খোকন

দুর্বৃত্তের কূটচালে...

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ১৮ মে ২০১৭

দুর্বৃত্তের কূটচালে...

রমজান মাস আসার আগেই ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। এবারও তাই শুরু হয়েছে। ৪ মে’র আগে দেশী রসুনের দাম ছিল ৮০ টাকা কেজি। ৫ তারিখ থেকে ধপ করে রসুনের দাম বেড়ে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় উঠে গেল। চায়না রসুনের দাম ৪২০ টাকা এখন। ক’জন ক্রেতার ভাগ্যেই বা তা জুটছে। তাহলে রসুনের দামে কি আগুন চলছে না? চালের দাম তো ১ টাকা ২ টাকা করে বেড়েই চলছে। পেঁয়াজ, ছোলা, চিনির দাম বৃদ্ধি থেমে নেই। মাছ, মাংস ও শাকসবজির বাজারেও এখন আগুন। মাছ তো মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দেশী মুরগি বাজারে মিলছেও না। কোথাও কোথাও মিললে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা অর্থাৎ দেশী মুরগির কেজি এখন ৪০০ টাকার উর্ধে। শব-ই বরাত ও রমজান-এ জন্যই এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এদের কাজই হলো অধিক মুনাফা লাভ করা আর আঁখের গুটানো। সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে চুষে খাওয়াই এদের স্বভাব। কে-না জানে ভোগ্যপণ্য বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে কতিপয় দুর্বৃত্তের কূটচালের কারণে। এদিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলে আসছে, রমজানে যাতে ভোগ্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকে তার জন্য সরকার সবধরনের সহায়তা করবে। দাম না বাড়লে ব্যবসায়ীদের পুরস্কৃত করা হবে। অথচ অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ইতোমধ্যে কয়েকদিনের ব্যবধানে চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুনের মতো ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে কোনকালেই লাভ হয়নি। ভবিষ্যতেও লাভ হবে না। অসাধু ব্যবসায়ীরা শুধুই বোঝে, কি করে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে অধিক লাভ করা যায়। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ল কি বাড়ল না তারা এ কথা কখনও ভাবেন না। তারা এক অর্থে দেশের সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে কষ্ট ও ভোগান্তিই দিতে জানে। আমরা এ-ও জানি, বিদেশে নিত্যপণ্যের দাম কমে কিন্তু বাংলাদেশে উল্টোটা অসাধু ব্যবসায়ীরা শুধুই জানে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের দাম দিন দিন কিভাবে বাড়ানো যায়। সুতরাং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের প্রতি কঠোর হোন। সাধারণ মানুষ যাতে স্থিতিশীল ভোগ্যপণ্যের বাজার দেখতে পান এবং কম মূল্যে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য ক্রয় করতে পারেন- সেদিকে দয়া করে নজর দিন। রূপনগর, ঢাকা থেকে
×