ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক বাজারে পোশাকের মূল্য বৈষম্যের শিকার বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০১:৪৬, ২০ এপ্রিল ২০১৭

আন্তর্জাতিক বাজারে পোশাকের মূল্য বৈষম্যের শিকার বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আন্তর্জাতিক বাজারে পোশাকের মূল্য বৈষম্যের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে উৎপাদিত একটি টি শার্ট আমেরিকা কিনছে ৩ দশমিক ৫২ ডলারে এবং নিজেদের বাজারে বিক্রি করছে ১৩ ডলারে। একইভাবে সুইডেন বাংলাদেশ থেকে কিনছে শূন্য দশমিক ৮৯ ডলারে। বিক্রি করছে ৯ ডলারে। যে কারণে গ্লোবাল ভ্যালু চেইনে বাংলাদেশের নীট ওয়্যার খাতের অবদান ৬-৭ শতাংশ। যা কোনভাবেই সন্তোষজনক নয় বলে মনে করছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। বৃহস্পতিবার বিকেএমইএ‘র কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ নীটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি : রিটেইল ব্র্যান্ডিং, গভার্নেন্স অ্যান্ড মার্কেট ক্রিয়েশন’ শীর্ষক এক কর্মশালা বক্তারা এসব কথা বলেন। বিকেএমইএ এবং যুক্তরাজ্যের মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি ডব্লিউজিএসএন এর যৌথ উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে দেশীয় পোশাক ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এর বাজার সৃষ্টিতে সরকারি পর্যায়ে করণীয় সম্পর্কে দুটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ জামাল, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবরার আনোয়ার, ডব্লিউজিএসএন এর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সেলস ডিরেক্টর পুনিত কুমার দুদেজা, পোশাক ব্র্যান্ড ইয়োলো’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারিয়ার বার্নি, ফকির অ্যপারেলস এর ডিজাইন প্রধান শিবানি শর্মা। কর্মশালায় প্যানেল মডারেটর ছিলেন বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের প্রাক্তন সভাপতি মুজিবুর রহমান। আরও বক্তব্য রাখেন বিকেএমইএ’র ১ম সহ-সভাপতি এ এইচ আসলাম সানি ও জি এম ফারুক। স্বাগত বক্তব্যে আসলাম সানি বলেন, নিজেদের দক্ষতা যোগ্যতা ও গুণগত মান প্রমাণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিম-লে ৪০ বছর পার করছে। বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক আমরা। নীট খাত থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশের আয় ১৩.৩৫ বিলিয়ন ডলার যা জিডিপি প্রবৃদ্ধির ৬.০২ শতাংশ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত একটি টি শার্ট আমেরিকা কেনে ৩.৫২ ডলারে এবং নিজেদের বাজারে বিক্রি করে ১৩ ডলারে। একইভাবে সুইডেন আমাদের কাছ থেকে ০.৮৯ ডলারে কিনে বিক্রি করে ৯ ডলারে। যে কারণে গ্লোবাল ভ্যালু চেইনে বাংলাদেশের নীট ওয়্যার খাতের অবদান ৬-৭ শতাংশ যা সন্তোষজনক নয়।
×