ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাগেরহাটে জোড়া তালি দিয়ে চলছে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম

প্রকাশিত: ০২:০৮, ২০ মার্চ ২০১৭

বাগেরহাটে জোড়া তালি দিয়ে চলছে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটে জনবল সংকট ও অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারনে প্রাথমিক শিক্ষায় কাঙ্খিত গুণগত মান উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও রামপাল উপজেলায় তীব্র শিক্ষক সংকট এবং জরাজীর্ণ স্বুল ভবনের কারনে স্বাভাবিক শিক্ষাক্রম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এই তিন উপজেলায় প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের ৪’শতধিক পদ শুণ্য রয়েছে। আর শতাধিক বিদ্যালয়ে ভবন জরাজীর্ণ। শরণখোলা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ১১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী সহ প্রায় ১৫ হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থী রয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসের যে পরিমাণ জনবল থাকা প্রয়োজন তার অর্ধেকও নেই উপজেলার এ অফিসটিতে। একজন (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকর্তা, দুইজন সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা ও একজন অফিস সহকারি দিয়ে কোন মতে জোড়া-তালি দিয়ে চলছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কার্যক্রম। এখানে জরাজীর্ণ ১৫টি বিদ্যালয়ে সহস্রাধিক শিশু শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। পাশাপাশি ৫৫টি প্রধান শিক্ষক ও ৮৭টি সহকারি শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকায় শিক্ষক সঙ্কটের কারণে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার সাউথখালী এলাকার এক (অবসর প্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক বলেন, শিক্ষা অফিসের জনবল সঙ্কট ছাড়াও কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন হচ্ছেনা। মাস শেষ হলে উপবৃত্তির ৩০০ টাকা পাওয়ার আশায় অধিকাংশ শিশুরা স্কুলে আসছে-যাচ্ছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ফলে বিত্তবান অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি কিন্ডার গার্টেন গুলোর দ্বারস্থ হচ্ছেন। তাছাড়া শিক্ষকদের শতভাগ উপস্থিতি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবে, নানা সঙ্কটের কথা স্বীকার করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক সমাদ্দার বলেন, পূর্বের তুলনায় অনেকগুণ সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে। যাকিছু সমস্যা ও সংকট এখনও রয়েছে, তা দ্রুত নিরসনে কার্যক্রম চলছে।
×