অর্থনৈতিক রিপোর্টার॥ ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা খারাপ জানার পরও উদ্বিগ্ন নন দেশের অর্ধেক মানুষ। তবে এ ব্যপারে তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না। আর বেশির ভাগ গ্রাহকই বড় আর্থিক দুর্ঘটনা সম্পর্কে অবহিত থাকেন না। বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট, বিআইবিএমের গবেষনায় উঠে এসেছে এমন তথ্য।
তবে গবেষকদের অভিমত গ্রাহকরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করলে ব্যাংকিং সেবার মান উন্নত হবে। যদিও ব্যাংকাররা মনে করেন, ব্যাংকের প্রতি এখনও মানুষের অবিচল আস্থা আছে। অর্থনীতির আকার, মানুষের চাহিদা কিংবা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য, যে কারণেই হোক দেশের ব্যাংকিং পরিসর এখন বেশ বড়।
রাষ্ট্রায়ত্ব এবং বেসরকারি, সব মিলিয়ে এখন মোট ব্যাংকের সংখ্যা ৫৬ টি। দীর্ঘ মেয়াদি ও স্বল্প মেয়াদি বিভিন্ন পরিকল্পনা থেকেই আমানতকারীরা এসব ব্যাংকে টাকা জমা রাখেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট, বিআইবিএম এর গবেষণায় উঠে এসেছে ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা খারাপ হলে তার তথ্য জানতে পারেন ৫২ শতাংশ আমানতকারী। তারা এ বিষয়ে বেশ উদ্বিগ্ন হন। তবে এ জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না।
এই ব্যাংকারের অভিমত, টাকা আমানত করার বিকল্প কোন নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান দেশে নেই। এছাড়াও ব্যাংকগুলোর প্রতি মানুষের আস্থাও বেশি বলে মন্তব্য করেন তিনি। গবেষণায় উঠে আসে, নিরাপত্তার বিষয়ে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা বেশি থাকলেও সেবার ক্ষেত্রে বেসরকারি ব্যাংকের প্রতিই তাদের আস্থা বেশি।
তবে বেশিরভাগ আমানতকারীই নানা নিয়ম কানুন ও তাদের প্রাপ্য সুবিধার বিষয়ে অবগত নন। এমনকি তাদের একটি বড় আর্থিক খাতের বড় দুর্ঘটনার বিষয়েও সচেতন নন। আর অধিকাংশ গ্রাহকেরই ব্যাংকিং খবর পড়ারও অভ্যাস নেই। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, ব্যাংকিং সেবা ও বিধিবিধান সম্পর্কে গ্রাহক সচেতনতা বাড়লেও এ খাতের অনিয়মও অনেকাংশে কমে আসবে।