ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শহরের খালে গোল্ড ফিশ ছেড়ে বিপদে পড়েছেন মালিক

প্রকাশিত: ১৯:২৪, ১৫ মার্চ ২০১৭

শহরের খালে গোল্ড ফিশ ছেড়ে বিপদে পড়েছেন মালিক

অনলাইন ডেস্ক ॥ নেদারল্যান্ডসের এক ব্যক্তি একটি খালে বেশ অনেক বাহারে মাছ ছেড়ে দিয়ে মহা বিপদে পড়েছে। নেদারল্যান্ডসের এন্টারপ্রাইজ এজেন্সি (আরভিও) হান্স ভ্যান মানেন নামের ওই ব্যক্তিকে ভেনেনদাল শহরের ওই খাল থেকে মাছগুলো আবার তুলে ফেলার জন্য এক মাস সময় দিয়েছে। স্থানীয়একটি ওয়েবসাইট খবর দিয়েছে বাহারে গোল্ড ফিশগুলো জুন মাস থেকে ওই খালে সাঁতরে বেড়াচ্ছে। মিঃ ভান মানেন এলাকার সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য মাছগুলো খালে ছেড়েছিলেন। তার এই উদ্যোগে তাকে সাহায্য করেছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তিনি মোট ২৮০টি বাহারে মাছ খালে ছেড়েছিলেন এর মধ্যে ছিল ৮০টি গোল্ড ফিশ এবং প্রায় একই ধরনের আরেক প্রজাতির উজ্জ্বল কমলা রঙের মাছ। বিবিসি মনিটরিং খবর দিচ্ছে ডাচ সরকারি মন্ত্রণালয়ের অংশ এই সংস্থা আরভিও বলেছে মিঃ ভান মানেনকে এক মাসের মধ্যে গোল্ড ফিশগুলো খাল থেকে তুলে নিতে হবে। পরিবেশবাদী একটি গোষ্ঠীর কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আরভিও এই নির্দেশ জারি করে। কর্মকর্তারা বলছেন স্থানীয় জীববৈচিত্র্য এই মাছগুলোর থেকে হুমকির মুখে পড়তে পারে। তারা বলছেন গোল্ড ফিশের ডিম খালের মধ্যে দিয়ে অন্য জলাশয়ে গিয়ে পড়তে পারে, যা স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি হয়েউঠতে পারে। এছাড়াও অন্যান্য মাছের প্রজনন প্রক্রিয়ায় এই বাহারে মাছগুলো যুক্ত হলে স্থানীয় মাছের প্র্রজাতি বদলে যেতে পারে। তারা বলে মিঃ ভান মানেন মাছগুলো খালে ছেড়ে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ আইন ভঙ্গ করেছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে মিঃ ভান মানেন যদি নিজে মাছগুলো তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা না করেন, তাহলে খাল থেকে মাছগুলো তোলার জন্য সরকারি খরচ তাকে মেটাতে হবে বলে সরকারি সংস্থাটি জানিয়েছে। মিঃ ভান মানেন বলেছেন "তিনি অবশ্যই সরকারের নির্দেশ মানবেন, যদিও এই সিদ্ধান্তে তিনি মর্মাহত। "বিশেষজ্ঞরা যদি মনে করেন এরা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক, তাহলে তা আমাকে মানতেই হবে। জীবজন্তু আমি ভালবাসি। মাছগুলোর কথা ভেবেই তাদের আমি মুক্ত পরিবেশে ছেড়েছিলাম।" তিনি বলেছেন গোল্ড ফিশগুলো তিনি বেচে দেবেন। ''খালের পানিতে সেগুলো বেশ মোটাতাজা হয়েছে। আর বিক্রির অর্থ দিয়ে আমি অন্য প্রজাতির বাহারে মাছ কিনব যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।" সুত্র : বিবিসি বাংলা
×