ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বব্যাংককেই আস্থা ফেরাতে ব্যবস্থা নিতে হবে ॥ আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:২২, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বিশ্বব্যাংককেই আস্থা ফেরাতে ব্যবস্থা নিতে হবে ॥ আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার॥ পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি এবং দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের আস্থা অর্জনে ব্যবস্থা নিতে হবে বিশ্বব্যাংককে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের যেসব কর্মকর্তা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারে বিশ্বব্যাংক। বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটায় রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য ১৩৩তম রিফ্রেশার কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন। আনিসুল হক বলেন, পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক যে আচরণ করেছে এর প্রতিকার আমরা চাই। বিশ্বব্যাংকের এ আচরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এ মিথ্যা অভিযোগের কারণে যারা ভুক্তভোগী তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থা নেবে কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সদস্য হওয়ার সময় যেসব নীতি ও চুক্তি সই করেছিল সেই চুক্তিতে এমন কোন কথা উল্লেখ নেই যে ঋণ বাতিল করলে বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। বিশ্বব্যাংক আইনের উর্ধে নয়। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের বিষয়ে হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেছে। রুলের বিষয়বস্তু জানার পরই বক্তব্য দেয়া ভাল। যেহেতু বিষয়টি আদালতে গেছে এখন আমি মনে করি আদালত থেকে এ বিষয়ে বক্তব্য আসাই ভাল। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সন্দেহের বশে বিশ্বব্যাংক যে আচরণ করেছে, তার প্রতিকার চায় বাংলাদেশ। আপনারা জানেন, ১৪ দল এক বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। প্রতিকার ক্ষতিপূরণ দিয়েও হতে পারে। যেসব কর্মকর্তা আমাদের বিরুদ্ধে এই অবিচার করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েও প্রতিকার করতে পারে। ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতগুলোতে বাংলায় রায় পড়ার কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। প্রধান বিচারপতি চাইলে বাংলায় রায় পড়ার বিষয়ে কোন বাধা থাকবে না। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোহাম্মদ জহিরুল হক ও বিচার প্রাশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ।
×