ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নড়াইলের লোহাগড়ায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে একটি সংখ্যালঘু পরিবার!

প্রকাশিত: ০০:৪৬, ১১ জানুয়ারি ২০১৭

নড়াইলের লোহাগড়ায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে একটি সংখ্যালঘু পরিবার!

নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল ॥ গ্রামের প্রভাবশালীদের হুমকিতে প্রায় এক একর জমিসহ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে একটি সংখ্যালঘু পরিবার। প্রভাবশালীরা জোরকরে বাড়ি-জমি লিখে নিতে চায়। অবস্থা খারাপ দেখে এক ভাই ভারতে চলে গেছে। অন্যজন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের ঘরে তালামারা। বাড়ির লোক কেউই নেই। এখন বাড়িসহ এক একর জমি লিখে নিতে অব্যাহতভাবে দেয়া হচ্ছে হুমকি-ধামকি। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগে জানা গেছে, লোহাগড়ার ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা গ্রামে মৃত অনন্ত পালের ছেলে আশুতোস পাল ও তার ভাই পংকজ পাল নিজ মায়ের সাথে প্রায় ৩০ শতাংশ জমির ওপর থাকা বাড়িতে বসবাস করেন। তাদের মোট জমির পরিমাণ প্রায় এক একর। কিন্তু বাড়ি ও জমির ওপর নজর পড়েছে এলাকার কয়েকজন অর্থলোভীর। আশুতোস পাল অভিযোগ করেন,একই গ্রামের মৃত আব্দুল হক শেখের ছেলে শাহাবুল শেখ, সেকেন্দার শেখের ছেলে মওদুদ শেখ, মৃত আব্দুল হক শেখের ছেলে আবু শেখ সহ রাজিব ফকির, সোহেল ফকির, মাসুম শেখ, রুনু শেখ, লুথু শেখ, টুলু, মিলটন ভুঁইয়া, ইছাখালি গ্রামের খাজা মোল্যা এবং আরো কয়েকজনে মিলে জোর করে আশুতোস পাল ও তার ভাই পংকজ পালের বাড়িসহ এক একর জমি লিখে নিতে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। গতবছর ২১ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে উল্লেখিতরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আশুতোস পালের বাড়িতে চড়াও হয়ে জমি লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করে। এমনকি উল্লেখিতরা আগেই জোর করে জমি লিখে নেবার প্রস্তুতি হিসাবে লোহাগড়া সাবরেজিষ্ট্রি অফিস থেকে আশুতোসের নামে ১৫০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প কিনে নিয়ে যায়। প্রভাবশালীদের হুমকিতে বাড়িঘর ফেলে ২১ ডিসেম্বর বেলা ১টার দিকে আশুতোস পাল বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। আশুতোস পাল জানান, গ্রামে গেলে সন্ত্রাসীরা জোর করে জমি লিখে নিয়ে আমাকে হত্যা করতে পারে। তাই পালিয়ে বেড়াচ্ছি। অবস্থা খারাপ দেখে পংকজ পাল দুই মাস আগেই ভারতে চলে গেছেন। তার ঘরে তালামারা। বাড়ির লোক কেউই নেই। বাড়ির পার্শ্ববর্তী সুধা রাণী পাল(৯৫) জানান, ১৫/২০দিন আগে আশুতোস পাল বাড়ি ছেড়ে কোথায় যেন চলে গেছে। অভিযুক্তদের পাওয়া না গেলেও অভিযুক্ত রাজিব ফকিরের পিতা বাবলু ফকির ঘটনা অস্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে ইতনা ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান টগর জনকণ্ঠকে বলেন, এ ধরনের ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। লোহাগড়া থানার ওর্সি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেবো।
×