ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুনর্অর্থায়নের সুদের হার কমেছে

প্রকাশিত: ০৪:১২, ৩ জুলাই ২০১৬

পুনর্অর্থায়নের সুদের হার কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য গঠিত বিশেষ পুনর্অর্থায়ন সহায়তা তহবিলের সুদহার দেড় শতাংশ কমিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি এ ঋণের সময়ও বাড়ানো হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের জন্য এ কাজটির উদ্যোক্তা বিএসইসি বটে কিন্তু তারা আবেদন করেছিল ১% মওকুফের জন্য আর সরকার মওকুফ করেছে ১.৫%। পুনর্অর্থায়ন সহায়তা তহবিলের তদারকি কমিটির আহবায়ক ও বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। এখন থেকে পুনর্অর্থায়ন ঋণ সহায়তা তহবিল থেকে নেয়া ঋনের সুদহার হবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, যা আগে ছিল ৯ শতাংশ। এর সাথে ঋণের মেয়াদও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। এর আগে পুনর্অর্থায়ন সহায়তা তহবিল থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে ঋনের সুদহার ৯ শতাংশের পরিবর্তে ৮ শতাংশে নামিয়ে আনার সুপারিশ করে তদারকি কমিটি। একই সঙ্গে তহবিলটির মেয়াদ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। আজ বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এক চিঠির মাধ্যমে তদারকি কমিটির প্রস্তাবে সম্মতি জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদারকি কমিটির আহবায়ক ও বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, আমরা এক শতাংশ সুদহার কমানোর সুপারিশ করেছিলাম। তবে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ায় সুদহার দেড় শতাংশ কমিয়েছে। এছাড়া ঋণ গ্রহণের আবেদনের সময়সীমা আরো তিন মাস বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তহবিলটির মেয়াদ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। পুনর্অর্থায়ন সহায়তা তহবিল থেকে নেয়া ঋনের সুদহার কমলেও সরকারের সুদহার অপরিবর্তিত থাকছে। বর্তমানে পুনর্অর্থায়ন ঋণ সহায়তা তহবিল থেকে নেয়া ঋণের সুদ হার হচ্ছে ৯ শতাংশ। এরমধ্যে সরকার ৫ শতাংশ, সার্ভিস চার্জ বাবদ আইসিবি ২ শতাংশ এবং সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস ২ শতাংশ হারে সুদ পায়। এখন পরিবর্তিত হারে আইসিবির সার্ভিস চার্জ ২ শতাংশ থেকে কমে এক শতাংশে ও মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে দেড় শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। পরিবর্তিত সুদহার নতুন ঋণের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। সরকারি ঘোষণার প্রায় দুই বছর পর ৯০০ কোটি টাকার পুনর্বিনিয়োগ তহবিল গঠনের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে প্রায় আড়াই বছর পার হলেও বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহে সরকার গঠিত তহবিলের ৩০ শতাংশই অব্যবহৃত রয়ে গেছে। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের শেয়ারবাজার ধসের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় বিশেষ স্কিমের ঘোষণা দেয়। ওই স্কিমের আওতায় তাদের এক বছরের মার্জিন ঋণের ৫০ শতাংশ মওকুফ এবং বাকি সুদসহ সমুদয় ঋণ ৩ বছরে সমান ১২ কিস্তিতে প্রদানের সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়। মাত্র ৯ শতাংশ সুদে ক্ষতিগ্রস্ত এসব বিনিয়োগকারীদের পুনর্অর্থায়ন ঋণ সহায়তা দেয়া হয়। এছাড়া আইপিওতে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ কোটা সুবিধা প্রদান করা হয়। ঋণ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবি।
×