ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্প্লিন্টারের আঘাতে রবিউল ও সালাউদ্দিনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০০:৩৩, ২ জুলাই ২০১৬

স্প্লিন্টারের আঘাতে রবিউল ও সালাউদ্দিনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে অস্ত্রধারীদের স্প্লিন্টারের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ডিবি উত্তরের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল করিম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। লাশের ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ ও প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস। এর আগে ময়নাতদন্তের জন্য দুপুর ১টার দিকে লাশ ঢামেক মর্গে আনা হয়। সোহেল মাহমুদ জানান, দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে ময়নাতদন্ত শুরু হয় এবং শেষ হয় ১টা ৪৫ মিনিটে। ময়নাতদন্তে দেখা গেছে, রবিউল করিমের বুকের ডানদিকে স্প্লিন্টারের আঘাতে বড় ক্ষত হয় এবং ফুসফুসে আঘাত লাগে। এ আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে মারা গেছেন রবিউল করিম। আর গলার বামপাশে স্প্লিন্টারের আঘাতে মারা গেছেন সালাউদ্দিন আহমেদ। এসি রবিউলের ছোট ভাই শামসুজ্জামান জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে নেওয়া হয়েছে। এরপর গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে লাশ নিয়ে যাওয়া হবে। গ্রামের বাড়িতেই লাশ দাফন করা হবে। ওসি সালাউদ্দিনের বড় ভাই নাজির উদ্দিন খান জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে নেওয়া হয়েছে। এরপর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরে লাশ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে আত্মীয়-স্বজনদের দেখানো এবং জানাজা শেষে লাশ পুনরায় ঢাকায় আনা হবে। এরপর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। রাজধানীর গুলশানের ২ নম্বর সড়কের ৭৯ নম্বর বাড়িতে শুক্রবার রাতে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে ছুটে যান এসি রবিউল ও বনানী থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন। দু’জনই সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন। এ সময় গুরুতর আহত হন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আব্দুল আহাদ ও অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মারুফ হাসানসহ আরও বেশ কয়েকজন। তারা ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে দুপুর দেড়টায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলায় রাতেই ২০ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
×