অনলাইন ডেস্ক ॥ অবশেষে গুলশানের রেস্তোরাঁয় দখল নিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ৪৫ মিনিটের অভিযানে মোট ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযান শেষ হয়েছে বলে জানিয়ে কূটনৈতিক জোনের উপ-কমিশনার জসিমউদ্দিন জানান, হামলাকারীদের কয়েক জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ৫ জনের দেহও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আটকে থাকা পণবন্দিদের উদ্ধারে শনিবার সকালেই কমান্ডো অভিযান শুরু করে সেনা। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ এই অভিযান শুরু হয়।
সূত্রের খবর, গুলি এবং সাউন্ড গ্রেনেড ফাটিয়ে রেস্তোরাঁর ভিতর ঢোকার চেষ্টা করে কমান্ডোবাহিনী। ভিতর থেকে পাল্টা গুলি চালায় জঙ্গিরাও। কিছু ক্ষণ পরে এক পণবন্দিকে উদ্ধার করে বাইরে আনা হয়। সকাল ৯টা নাগাদও হোটেলের ভিতর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে রেস্তোরাঁয় বোমা নিস্ক্রীয় করার কাজ চলছে, তাই এই বিস্ফোরণ।
শুক্রবার রাতে অভিযান শুরু কিছু ক্ষণ পরেই এলাকা থেকে সংবাদ মাধ্যমকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রাতেই সংঘর্ষে দুই পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনার দায় স্বীকার করে আইএস জানিয়েছিল, পণবন্দিদের হত্যা করা হয়েছে। রাতেই জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছিল যৌথ বাহিনী। জবাবে জঙ্গিরা আত্মসমর্পণের তিনটি শর্ত দিয়েছিল। শর্তগুলো হলো-
১. একদিন আগে ডেমরা থেকে আটক জেএমবি নেতা খালেদ সাইফুল্লাহকে মুক্তি দিতে হবে।
২. তাদেরকে নিরাপদে বের হয়ে যেতে দিতে হবে।
৩. ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাদের এই অভিযান। এই অভিযানকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
যৌথ বাহিনী হ্যান্ড মাইকে আত্মসমর্পনের আহ্বানের পরপরই জঙ্গিরা রেস্তোরাঁর মধ্যে থেকে চিৎকার করে তাদের এসব শর্তের কথা জানায়।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: