ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

আনন্দময় ঈদের সময় কাটবে গানে গানে

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২ জুলাই ২০১৬

আনন্দময় ঈদের  সময় কাটবে  গানে গানে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেষ হতে চলেছে আত্মসংযমের মাস রমজান। দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। আর ঈদ মানেই অফুরন্ত আনন্দ-উৎসব। চাই ভরপুর বিনোদন। বহুমাত্রিক বিনোদন বা উৎসব উদযাপনের অন্যতম এক অনুষঙ্গ গান শোনা। সুরের খেলায় প্রফুল্ল হয়ে ওঠে গানপ্রেমী শ্রোতার অন্তর। সেই সুবাদে গানে গানে কেটে যাবে ঈদের আনন্দময় কিছুটা সময়। সঙ্গীতানুরাগীদের মন রাঙাতে এবার বিভিন্ন প্রযোজনা সংস্থা থেকে প্রকাশিত হয়েছে রকমারি ধাঁচের দুই শতাধিক এ্যালবাম। ঈদ আনন্দে শ্রোতাকে বিনোদিত করতে প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য কিছু সঙ্গীত সঙ্কলনের খোঁজখবর তুলে ধরা হলো এ প্রতিবেদনে। উৎসবকে রাঙাতে প্রতিবছরে মতো এবারও শ্রোতানন্দিত শিল্পীদের সঙ্গে থাকছে নবীনদের নানা স্বাদের সঙ্কলন। এ তালিকায় বিগত বছরের তুলনায় বেড়েছে একক ও দ্বৈত এ্যালবামের সংখ্যা। মিশ্র এ্যালবাম এসেছে আগের তুলনায় কম। ব্যান্ড মিউজিকের এ্যালবাম বেরিয়েছে হাতেগোনা কয়েকটি। গানের দেশ বাংলাদেশের বাংলা গানের বিপুল সম্ভারকে শেকড়সন্ধানী শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। এবার ঈদ উপলক্ষে এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত হয়েছে তিনটি সঙ্গীত সঙ্কলন। ফারহিন খান জয়িতার কণ্ঠে গাওয়া ‘কত মধুসমীরে’ শীর্ষক রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্কলনটির যন্ত্রানুষঙ্গ পরিচালনা করেছেন পার্থ পাল। বাংলা সংস্কৃতির প্রাচীন গানের ধারা পদাবলী কীর্তনের সঙ্কলন নিয়ে কিরণ চন্দ্র রায়ের গাওয়া সঙ্কলনটির শিরোনাম ‘মেঘ যামিনী’। এ এ্যালবামের যন্ত্রানুষঙ্গ পরিচালনা করেছেন দুর্বাদল চট্টোপাধ্যায়। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের সঙ্কলন নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে সুকান্ত চক্রবর্তী ও অভিজিৎ মজুমদারের সঙ্গীত সঙ্কলন। ‘আমার বেদনা লহ বুঝি’ শিরোনামের এ্যালবামে যন্ত্রানুষঙ্গ পরিচালনা করেছেন অম্লান হালদার। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সাউন্ডটেক থেকে প্রকাশিত হয়েছে বিপ্লবের একক এ্যালবাম ‘আমার কোন টেনশন নাই’। একই সঙ্গে অবসকিওর ব্যান্ডের একাদশতম এ্যালবাম ‘ক্র্যাক প্লাটুন’। এছাড়া ন্যান্সি ও ডলি সায়ন্তনীর এককসহ বেশ কিছু মিশ্র এ্যালবাম রয়েছে প্রকাশের অপেক্ষায়। ঈদ আয়োজনে নবীন শিল্পীদের প্রাধান্য দিয়েছে প্রযোজনা সংস্থা সঙ্গীতা। সে তালিকায় রয়েছে মিলন মাহমুদের ‘প্রিয়জন’, এফএ সুমনের ‘জোয়ার ভাটা’, নাজুর ‘ফিরিয়ে দাও আমার প্রেম’সহ ন্যান্সি ও কাজী শুভর ‘নাম কী তোমার’, আরেফিন রুমি ও লিজার ‘ভালবাসার বসতবাড়ি’, কোনাল ও শাফায়াতের ‘মায়াদয়া’, ঝিলিক ও শাহরিদ বেলালের ‘কতটা রাত’, শোয়েব ও নদীর ‘শূন্যস্থান’ এবং ইমরান, কণা ও বৃষ্টির ‘আজ ভালবাস না’। ঈদ উৎসবের শতাধিক এ্যালবাম প্রকাশ করেছে প্রযোজনা সংস্থা জি-সিরিজ। সিডির পাশাপাশি অনলাইনেও প্রতিষ্ঠান প্রকাশ করছে নতুন এ্যালবাম। এ সংস্থা থেকে বেরুনো ফাহমিদা নবীর ‘সাদাকালো’ ও প্রিয়াঙ্কা গোপের ‘চাঁদ জানালা’ সঙ্কলন দুটি পেয়েছে শ্রোতাপ্রিয়তা। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছে সাজুর ‘সাজু মেলা’, এফএ সুমনের ‘বধুয়া’ ও সজীবের ‘লাটিম’। একক এ্যালবামের পাশাপাশি দুই বাংলার জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু, রূপম ইসলাম, বালাম, তপু, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, কোনাল ও জিয়া খানের মিশ্র এ্যালবাম ‘ছায়াশরীরী’, তাহসান, তপু, ইমরান, সুমন, মাহাদি, ঝিলিক ও রাহির ‘হিট এ্যালবাম-৫’, ব্যান্ড মেটাফরের ‘এই অধ্যায়’ এই সংস্থার উল্লেখযোগ্য সঙ্কলন। প্রযোজনা সংস্থা লেজার ভিশন প্রকাশ করেছে বাউল শফি ম-লের ‘অধরা’। এ সংস্থার এককের তালিকায় আছে অমিত করের ‘আকাশটাকে ছোঁব’, রাকিব মোসাব্বিরের ‘মায়বতী ময়না’ ও স্বনামে প্রকাশিত জোহানের এ্যালবাম। মিশ্র এ্যালবামের তালিকায় রয়েছেÑ অর্ণব মিত্রের সঙ্গীতায়োজনের ‘ফোক স্টুডিও’, অজয় মিত্র ফিচারিংয়ের ‘কালো মানিক’, নির্ঝর, বনি, শান ও দেবলীনার ‘জল ক্যানভাস’, অমিত করের সঙ্গীতায়োজনে ‘শ্যামা মেয়ে’। ঈগল মিউজিক প্রকাশ করেছে আরেফিন রুমির ‘সত্যি করে বল’। গাঙচিলের ঈদ আয়োজনে রয়েছে মমতাজের ‘চোখের জল’, মিনারের ‘ঝুম’, বেলাল খানের ‘তুমি’, পশ্চিমবঙ্গের কণ্ঠশিল্পী রূপঙ্করের ‘সকালের রোদ্দুর’, কর্নিয়ার ‘গাঙচিল’, কাজী শুভর ‘নারী’সহ বেশকিছু সংকলন। আজব রেকর্ডসের ‘সাত সমুদ্দুর’ এরই মধ্যে আলোচনায় চলে এসেছে। প্রেসক্লাবে মেহেদী উৎসব ॥ ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স সভাকক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকাবাসী যৌথ উদ্যোগে এলিট মেহেদী উৎসবের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের ইজিপ্ট দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোঃ ইজ্জত, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, এলিট কসমেটিক লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশন) বাসু রায় চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকাবাসী সংগঠনের সভাপতি ও জাতীয় ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ শুকুর সালেক। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রেসক্লাবের পরিবারের সদস্যরা এ মেহেদী উৎসবে অংশ নেন। সব শেষে পুরান ঢাকার একটি ক্বাসিদা পরিবেশন করা হয়। আগামী চাঁদ রাত পর্যন্ত এই মেহেদী উৎসব নগরীর বিভিন্ন এলাকায় হবে বলে আয়োজক সূত্রে জানানো হয়।
×